দেশের কয়েক কোটি মানুষের জন্মনিবন্ধন সনদ গায়েব হয়ে গেছে। সন্তানের জন্মনিবন্ধন সনদ করতে বাবা-মায়ের জন্মসনদ বাধ্যতামূলক হওয়ায় বহু অভিভাবক নিজেদের জন্মনিবন্ধন সনদ সার্ভারে দেখতে গিয়ে পাননি। এরপরই বিষয়টি সামনে আসে।
শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি বাংলা।
বিবিসি বাংলা জানায়, বাংলাদেশের জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধনের দায়িত্বে থাকা রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা বলছেন, আগে জন্মনিবন্ধন করে সনদ নিয়েছেন এমন কয়েক কোটি মানুষকে এখন সম্পূর্ণ নতুন করে অনলাইনে জন্মনিবন্ধন করাতে হবে, কারণ তাদের আগের নিবন্ধন গায়েব হয়ে গেছে।
স্কুল শিক্ষার্থীদের একটি বিরাট অংশের আবার একাধিক অনলাইন জন্মনিবন্ধনের ঘটনাও বেরিয়ে এসেছে যা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশে এখন প্রায় চার কোটি স্কুল শিক্ষার্থীর জন্য ডিজিটাল ইউনিক আইডি তৈরির কাজ চলছে, যার জন্য জন্মসনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
ওদিকে নতুন নিয়মে শিক্ষার্থীদের জন্মসনদের আবেদন করতে হলে তাদের বাবা মায়েরও তাদের জন্মসনদ দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু অনেক অভিভাবকের জন্মসনদ এখন আর সরকারি সার্ভারে দেখাচ্ছে না।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগে যারা ম্যানুয়ালি জন্মসনদ নিয়েছেন তাদের মধ্যে যারা নিজ উদ্যোগে বা সংশ্লিষ্ট নিবন্ধন অফিস থেকে অনলাইনে এন্ট্রি করেননি তাদের জন্মনিবন্ধন সংক্রান্ত তথ্য সার্ভারে আর নেই।
ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা ফখরুদ্দিন মোবারক জানান, তাদের এখন সম্পূর্ণ নতুন করে আবেদন করে জন্মনিবন্ধন নিতে হবে।
জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন বিষয়ে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের উপরেজিস্ট্রার জেনারেল মির্জা তারিক হিকমত বলেন, আগে যারা ম্যানুয়ালি জন্ম সনদ নিয়েছে তাদের তথ্যাদি অনলাইনে আপডেট করার জন্য ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় ছিল। এগুলো নিবন্ধন অফিসগুলোরই করার কথা। ইউনিয়ন পর্যায়ে অনেকটা হয়েছেও। কিন্তু পৌর এলাকাগুলোতে এটি হয়েছে খুব কম। যে কারণে বহু মানুষের তথ্য এখন আর অনলাইনে নেই। এখন আবার নতুন সার্ভারে পুরনো তথ্য স্থানান্তর করা যাচ্ছে না। ফলে যাদেরটা বাদ পড়েছে তাদের নতুন করে জন্মনিবন্ধন করাতে হবে।