চিত্রনায়িকা পরীমনির সামাজিক অবস্থান বিবেচনায় কারাগারে ডিভিশন চেয়ে আবেদন করেছেন তার আইনজীবী মজিবুর রহমান। আবেদনের বিষয়ে বিচারক নথি পর্যালোচনায় আদেশ দেবেন।
শুক্রবার (১৩ আগস্ট) দুই দফা রিমান্ড শেষে আদালতে তোলা হয় পরীমনি ও তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুকে। এ সময় পরীমনির জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী। সেই আবেদন নামঞ্জুর করে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ধীমান চন্দ্র মণ্ডল কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জামিনের আবেদন নামঞ্জুর হলে পরীমনির আইনজীবী মজিবুর রহমান বলেন, “পরীমনি একজন আন্তর্জাতিক মানের নায়িকা। ফোবর্স ম্যাগাজিনে তার নাম এসেছে। সামাজিক অবস্থান বিবেচনায় কারাগারে তার পক্ষে ডিভিশনের আবেদন জানাচ্ছি।”
রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী আব্দুল্লাহ আবু বলেন, ডিভিশনের বিষয়টি কারাবিধিতে আছে, কারা কর্তৃপক্ষ তা দেখবে। তখন বিচারক আইনজীবীর কাছে ডিভিশনের বিধান জানতে চান। পরীমনির আইনজীবী সামাজিক অবস্থানের ভিত্তিতে ডিভিশন দিতে পারেন বলে জানান। শুনানি শেষে বিচারক আবেদনের বিষয়ে নথি পর্যালোচনায় আদেশের জন্য রাখেন।
বুধবার (৪ আগস্ট) রাতে প্রায় ৪ ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমনি ও তার সহযোগীকে আটক করে র্যাব। এ সময় তার বাসা থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়।
আটকের পর পরীমনিকে র্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার র্যাব বাদী হয়ে মাদক আইনে পরীমনির বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলার পর ওই দিনই আদালতে তোলা হয়।