করোনা মহামারিতে সংক্রমণ রোধে সারাবিশ্বে টিকা কর্মসূচি চলছে। বাংলাদেশও পুরোপুরি টিকার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। প্রাপ্তবয়স্ক, বয়স্ক সবাইকে টিকার আওতায় নিয়ে এলেও তালিকার বাইরে ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা নারীরা। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির ঊর্ধ্বগতিতে অন্তঃসত্ত্বাদেরও টিকার আওতায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
রোববার (১ আগস্ট) সরকারের এই নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, “গর্ভবতী মায়েদের টিকার বিষয়েও চিন্তাভাবনা চলছে। আমাদের কারিগরি কমিটিও এই বিষয়ে মতামত দিচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও মতামত দিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেলে আগামীতে আমরা গর্ভবতী নারীদেরও টিকা দেব।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “কোভিডে বয়স্করাই বেশি প্রাণ হারাচ্ছেন। তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বয়স্করা নিবন্ধন না করলেও কেন্দ্রে গেলে তাদের টিকা দেওয়া হবে।”
কোভিড মহামারিতে উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর অন্যতম অন্তঃসত্ত্বারা। করোনা আক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বার শারীরিক জটিলতা ও মৃত্যুঝুঁকিও থাকে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিবেচনায় শুরুর দিকে বিশ্বজুড়েই অন্তঃসত্ত্বাদের কোভিড টিকা প্রয়োগে সতর্কমূলক অবস্থানে ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
সাম্প্রতিক বিভিন্ন গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, অন্তঃসত্ত্বাদের কোভিড টিকা নেওয়ার ফলে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, পার্শ্ববর্তী ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশে এরইমধ্যে অন্তঃসত্ত্বাদের টিকা কার্যক্রম চালু করেছে। নেতিবাচক প্রভাব না দেখা যাওয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।
এদিকে অন্তঃসত্ত্বাদের কোভিড টিকার আওতায় আনার দাবি জানিয়ে শনিবার (৩১ জুলাই) উচ্চ আদালতে রিটও করেন সুপ্রিম কোর্টের ৪ আইনজীবী। এর পরিপ্রেক্ষিতে অন্তঃসত্ত্বাদের শিগগিরই টিকার আওতায় আনার ব্যবস্থা করছে সরকার।