• ঢাকা
  • রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

‘এখন আর ক্রন্দন নয়, জেগে উঠতে হবে’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ৪, ২০২২, ০৪:৩৩ পিএম
‘এখন আর ক্রন্দন নয়, জেগে উঠতে হবে’

নুরে আলম ও আবদুর রহিমের হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ভোলা জেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নুরে আলমের জানাজা বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিএনপি মহাসচিব এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, “এখন আর ক্রন্দন নয়, আমাদের জেগে উঠতে হবে। এই ভয়াবহ কর্তৃত্ববাদী জুলুম নির্যাতনকারী সরকারের হাত থেকে এই জাতিকে মুক্ত করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া। শান্তিপূর্ণভাবে গণ–আন্দোলন শুরু করে নুরে আলম ও রহিমের হত্যার প্রতিশোধ নেব।”

সংঘর্ষের কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “পিতার কাঁধে পুত্রের লাশ। এর চেয়ে যন্ত্রণার কিছু নেই। আমাদের ছেলে নুরে আলম ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি। তাকে গুলি করে হত্যা করেছে এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পুলিশ বাহিনী। গুলি করে হত্যা করেছে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আবদুর রহিমকে। আরও ১৯ জন ঢাকায়, বরিশাল হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।”

বক্তব্যের একপর্যায়ে চার দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ৫ থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত শোক পালন করার জন্য বিএনপি সারা দেশে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করবে, কালো পতাকা উত্তোলন করবে। ৬ আগস্ট ছাত্রদল ঢাকায় সমাবেশ করবে, ৭ আগস্ট কৃষক দল সমাবেশ করবে, ৮ আগস্ট যুবদলের উদ্যোগে সমাবেশ হবে।

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নুরে আলমের জানাজায় বিএনপির কয়েক হাজার নেতা-কর্মী উপস্থিত হন। ওই এলাকার ভিআইপি রোডের এক পাশে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

লোডশেডিং এবং জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে ৩১ জুলাই ভোলায় বিক্ষোভ কর্মসূচিতে গুলিতে আহত হন নুরে আলম। পরে তাকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (৩ আগস্ট) তিনি মারা যান।
 

Link copied!