• ঢাকা
  • শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

একাত্তরের হত্যাযজ্ঞকে ‘গণহত্যা’র স্বীকৃতি যুক্তরাষ্ট্রের 


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১, ২০২২, ১১:৫২ এএম
একাত্তরের হত্যাযজ্ঞকে ‘গণহত্যা’র স্বীকৃতি যুক্তরাষ্ট্রের 
ছবি: সংগৃহীত

সারা বিশ্বে গণহত্যা নিয়ে কাজ করা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান লেমকিন ইনস্টিটিউট ফর জেনোসাইড প্রিভেনশন একাত্তরে বাংলাদেশিদের ওপরে পাকিস্তানিদের নির্মম হত্যাযজ্ঞকে ‘জেনোসাইড বা গণহত্যা’ বলে স্বীকৃতি দিয়েছে।

এর আগে বিদায়ী বছরের ১৫ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সাংবাদিক সিরাজউদ্দিন হোসেনের ছেলে তৌহিদ রেজা নূর এই স্বীকৃতির জন্য আবেদন করেছিলেন।

এদিকে খ্রিস্টীয় নতুন বছর শুরুর প্রথম দিনে তাকে ওই ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে আইরিন ভিক্টোরিয়া মাসিমিনো এক ই-মেইলে স্বীকৃতির বিবৃতি পাঠান।

এর মাধ্যমে একাত্তরের পাকিস্তানিদের হত্যাযজ্ঞ যুক্তরাষ্ট্রেও গণহত্যার স্বীকৃতি পেল এবং এর ফলে এই হত্যাযজ্ঞ বৈশ্বিক স্বীকৃতি পাওয়ার পথ সুগম হলো। 

তৌহিদ রেজা নূর এক বার্তার মাধ্যমে তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, “আমি খুবই আনন্দিত। সুবর্ণজয়ন্তীর বছরেই এ স্বীকৃতি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের মানুষের জন্য এক বিশাল অর্জন ও প্রাপ্তি। এর মধ্যে অপরাপর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলোও একাত্তরের গণহত্যাকে একে একে স্বীকৃতি দেবে বলে আমার বিশ্বাস।”

পোলিশ রাফায়েল লেমকিনের নামানুসারে লেমকিন ইনস্টিটিউট ফর জেনোসাইডের নামকরণ করা হয়, যাকে ‘জেনোসাইড’ বা ‘গণহত্যা’ শব্দটির উদ্ভাবক বলা হয়।
২৩ বছরের শোষণ থেকে বাঙালির মুক্তির আন্দোলনকে চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে এ দেশের নিরস্ত্র মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনী।

‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামের সেই অভিযানে কালরাতের প্রথম প্রহরে ঢাকায় চালানো হয় গণহত্যা। তারপর নয় মাসে ৩০ লাখ বাঙালিকে হত্যা করা হয়। এর মধ্যে প্রতিরোধ যুদ্ধেও নামে বাঙালিরা। 

আর রক্তক্ষয়ী সেই সংগ্রামের পথ ধরেই আসে বাংলাদেশের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা।

Link copied!