জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২৯ হাজার ৩৪৪ কোটি ২৭ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়।
শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে সকাল ১০টায় একনেক বৈঠক শুরু হয়। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, ১৫ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা ব্যয় বাড়িয়ে মাতারবাড়ি আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণ প্রকল্পের প্রথম সংশোধনী অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে বর্তমানে প্রকল্পটির ব্যয় দাঁড়াল ৫১ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকা।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, বৈঠকে ৩ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে হাওর এলাকায় উড়ালসড়ক ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পটির মাধ্যমে পাশাপাশি দুটি জেলার যোগাযোগ স্থাপিত হবে। নেত্রকোনা ও সুনামগঞ্জ দুটি পাশাপাশি জেলা হলেও বছরের বেশির ভাগ সময়ই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকত।
একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে
১. ‘অবকাঠামোগত পুনর্গঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির আধুনিকীকরণ’ প্রকল্প।
২. ‘আরিচা (বরঙ্গাইল)-ঘিওর-দৌলতপুর-নাগরপুর-টাঙ্গাইল আঞ্চলিক মহাসড়ক (আর-৫০৬) যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্প।
৩. ‘নড়াইল শহরাংশের জাতীয় মহাসড়ক (এন-৮০৬) প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন’ প্রকল্প।
৪. ‘ইস্টাবলিশিং ডিজিটাল কানেকটিভিজ (ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন)’ প্রকল্প।
৫. ‘রুরাল ট্রান্সপোর্ট ইম্প্রুভমেন্ট প্রজেক্ট-২ (আরটিআইপি-২) (তৃতীয় সংশোধিত)’ প্রকল্প।
৬. ‘সিলেট বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন’ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প।
৭. ‘হাওর এলাকায় উড়ালসড়ক ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প।
৮. ‘খুলনা জেলার পোল্ডার নং-১৪/১ পুনর্বাসন’ প্রকল্প।
৯. ‘দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা সম্প্রসারণ (কম্পোনেন্ট-১, বাপাউবো অংশ)’ প্রকল্প।
১০. ‘মাতারবাড়ী ২৬০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্রজেক্ট (প্রথম সংশোধিত)’ প্রকল্প।
