করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নমুনা পরীক্ষার নামে প্রতারণা ও জাল সনদ দেওয়ার অভিযোগের মামলায় জেকেজি হেলথকেয়ারের সিইও আরিফুল হক চৌধুরী ও চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীসহ ৮ জনের ১১ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দুপুরে আদালতের রায়ের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ডা. সাবরিনা।
তিনি বলেছেন, “একটা কথাই বলব, আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন। একদিন মানুষ জানবে সাবরিনা নিরপরাধ ছিল। আমি (কারাগার থেকে) বের হব কি না, বড় কথা না। বড় কথা হলো দেশবাসী জানল আমি অপরাধী।”
সাবরিনা বলেন, “আমি তো সেদিনই মরে গেছি। যেদিন আমাকে কারাগারে ঢোকানো হয়েছে।”
এর আগে, মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন তাদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেন।
গত ২৯ জুন ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ১৯ জুলাই দিন ধার্য করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই জেকেজি হেলথকেয়ার ২৭ হাজার মানুষকে ভুয়া রিপোর্ট দেয়। এমন জালিয়াতির অভিযোগে ২০২০ সালের ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেয় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করলে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০২০ সালের ৫ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সাবরিনা, আরিফসহ আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী। চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও এবং জেবুন্নেসা।
চার্জশিটে সাবরিনা ও আরিফকে প্রতারণার মূল হোতা বলে উল্লেখ করা হয়। বাকিরা প্রতারণা ও জালিয়াতি করতে তাদের সহযোগিতা করেছেন বলে জানানো হয়।