ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ২৪ ঘণ্টার (একদিন) চ্যালেঞ্জ নিয়ে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু করেছে।
বুধবার (২১ জুলাই) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম রাজধানীর ভাটারা সাঈদ নগর হাট এলাকায় বর্জ্য অপসারণের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
মেয়র নিজে বর্জ্য অপসরণ গাড়ি চালিয়ে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
ডিএনসিসি জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল বাশার মোহম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ডিএনসিসিতে এ বছর আনুমানিক দুই লক্ষাধিক পশু কোরবানি দেওয়া হবে। নগরবাসীকে পশু কোরবানি দেওয়ার জন্য ৩০৭টি স্থানে সুব্যবস্থা করা হয়েছে। শহরের অধিকাংশ নাগরিক রাস্তার ওপর কিংবা ড্রেনের পাশে কোরবানি দিয়ে থাকেন। এবার তা বন্ধ করতে বিশেষ সচেতনতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বর্জ্য অপসারণের জন্য সিটি করপোরেশনের নিজস্ব দুই হাজার ৬৬৭ জন এবং অন্যান্য বেসরকারি ব্যবস্থাপনাসহ সর্বমোট ১১ হাজার ৫০৮ জন কর্মী কোরবানির বর্জ্য অপসারণে নিয়োজিত করা হয়েছে। কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে গুলশানের নগর ভবনে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের নম্বরগুলো হলো- ০২৫৮৮১৪২২০, ০৯৬০২২২২৩৩৩ এবং ০৯৬০২২২২৩৩৪।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের জানান, সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকা ও পশুর হাটগুলোর বর্জ্য এবং কোরবানির পর সৃষ্ট বর্জ্য অপসারণে ১০টি টিম গঠন করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে করপোরেশনের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বয়ে এই টিমগুলো গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও করপোরেশনের শীতলক্ষ্যা হলে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সচিত্র তদারকির জন্য একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষে স্থাপন করা হয়েছে।
বর্জ্য অপসারণ সম্পর্কিত সুরাহার জন্য কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ০১৭০৯৯০০৮৮৮ নম্বরে ফোন করে জানাতে পারবেন। কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষে করপোরেশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তিন শিফটে ২৪ জুলাই দুপুর ২টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মাঠ পর্যায়ে চলমান বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম তদারকি করবে।