আন্তর্জাতিক বাজারে সব পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশেও মুদ্রাস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেছেন, “বিএনপির সময় দেশে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ১২ শতাংশ। অথচ গত ১৪ বছর ধরে আমরা আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশে মুদ্রাস্ফীতি ৬-এর নিচে রেখেছি।”
শনিবার (২৩ জুলাই) রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে ‘বছরব্যাপী পুষ্টিকর ও উচ্চমূল্যের ফল উৎপাদন’ শীর্ষক সেমিনারে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জনগণের সঙ্গে আওয়ামী লীগের আত্মার সম্পর্ক আছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, “আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতন করা যাবে না। সরকার পতন করতে চাইলে নির্বাচনের মাধ্যমে করতে হবে। ভোটের মাধ্যমে করতে হবে। মানুষ আমাদের ভোট না দিলে আমরা চলে যাবো। তবে ক্ষমতার জন্য কেউ জ্বালাও-পোড়াও করলে সেটা মেনে নেওয়া হবে না।”
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “কোনো ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসেনি। এজন্য সহজে সরানোও যাবে না। জনগণের সমর্থন না থাকলে সেটা আমরা মাথা পেতে নিয়ে ক্ষমতা ছেড়ে হাসতে হাসতে চলে যাবো।”
সারের দাম কমানো বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, “বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। সারের দাম কমানোর সুবিধা কৃষক পাচ্ছে। আমরাই দেশে সারের দাম সবচেয়ে বেশি কমিয়েছি। সারে আমরা রেকর্ড পরিমাণ ভর্তুকি দিচ্ছি।”
কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, “রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এই মুহূর্তে খাদ্য নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সারাবিশ্বে খাদ্য সংকট হচ্ছে, মানুষ সেটি মোকাবিলা করছে।”
আব্দুর রাজ্জাক আরো বলেন, “দানা জাতীয় খাদ্যে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ। চাল আমাদানির সুযোগ দেওয়ায় মাত্র কয়েক লাখ টন চাল এসেছে। বাজারে চালের দামে কিছুটা প্রভাব ফেলেছে। চাল আমদানির সুযোগ দেওয়া হয়েছে যাতে কেউ সিন্ডিকেট করতে না পারে। বাজারে চালের দাম খুব একটা বেশি নয়।”
সেমিনারে সভাপতিত্বে করেন বাংলাদেশ একাডেমি অব অ্যাগ্রিকালচারের (বিএএজি) সভাপতি ও ইমিরেটাস সাইনটিস্ট ড. কাজী মোস্তফা এম. বদরুদ্দোজা।
বাংলাদেশ একাডেমি অব অ্যাগ্রিকালচার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. বেনজীর আলম, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. নাথুরাম সরকার।