আওয়ামী লীগ আর গণতন্ত্র একসঙ্গে যায় না উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “গণতন্ত্র বলতে যা বোঝায়, তা হলো মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, গত ১৪ বছর ধরে আওয়ামী শাসনামলে সেটাই হারিয়ে গেছে।”
শনিবার (১৯ মার্চ) বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) বার্ষিক কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “দেশের সংবাদপত্র এখন স্বাধীন নয়। তাদের লক্ষ্য হচ্ছে, সংবাদপত্রকে ধ্বংস করা। তারা এই মাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করে রেখেছে প্রায় এক যুগ ধরে।”
সাংবাদিকদের মধ্যে ঐক্য তৈরি করার কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, “এরশাদ সরকারের সময় সাংবাদিকরাই পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছেন। দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার আমলে সাংবাদিকদের ওপর কোনো নির্যাতন হয়নি।”
বিএনপির মহাসচিব বলেন, “সুপরিকল্পিতভাবে ক্ষমতায় থাকার জন্য বাংলাদেশকে এখন পরিকল্পিতভাবে কর্তৃত্ব রাষ্ট্র হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তিনটি অনুচ্ছেদে কোনো কথা বলা যাবে না, এমন উল্লখ রয়েছে। প্রত্যেকটা আইন করা হচ্ছে সংবাদপত্রকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “সংবাদমাধ্যমের প্রতিষ্ঠানগুলোও দুই ভাগ এখন—বিএনপি ও আওয়ামী লীগ। ডিজিটাল নিরাপত্তা নিয়েও আপনারা (সাংবাদিকরা) কথা বলেছেন, কোনো কাজ হয়নি। চায়ের টংদোকানে আলোচনা হতো গণতন্ত্রের, সেখানেও দুটি টেবিল এখন আওয়ামী আর বিএনপি।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আওয়ামী লীগের মিথ্যা কথা বলতে সমস্যা নাই। তারা দিনকে রাত এবং রাতকে দিন করতে পারে। শুধু পুরুষকে মহিলা এবং মহিলাকে পুরুষ করতে পারে না। যে আওয়ামী লীগ নেতা ভালো স্যান্ডেল পরতে পারে নাই, তারও ৫-১০ তলা বাড়ি আছে। তারা বিশ্বাসঘাতকতা শুরু করছে। তারা দেশটাকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে।”
এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, “আমার কৃষক ভাই খাবার পাচ্ছেন না অথচ আপনারা (আওয়ামী লীগ) দেশকে সিঙ্গাপুর বানানোর চেষ্টা করছেন। আওয়ামী সরকার বাইরে টাকা পাচার করছে। ঐক্যবদ্ধভাবে এই সরকারের বিরুদ্ধে যেন রুখে দাঁড়াতে পারি, সেই কাজ করছে বিএনপি। দেশের বেশির ভাগ মানুষ মানবেতর জীবন-যাপন করছে।”
বার্ষিক কাউন্সিলের সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএফইউজের সভাপতি এম আবদুল্লাহ। অনুষ্ঠানে বিএফইউজে, জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্যরা, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নসহ সংশ্লিষ্ট সংগঠন ও বিভিন্ন জেলা থেকে আসা সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।