রাজধানীর গুলশান-২ এ আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ হয়েছেন। এতে ওই বাসার গৃহকর্মীও দগ্ধ হয়েছেন। তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- এ এম রফিকুল ইসলাম (৩৫), তার স্ত্রী মালিহা আনহা উর্মি (৩২), তাদের শিশুসন্তান মাসরুর মো. রাফিন (২) এবং গৃহকর্মী মনি আক্তার (৩৫)।
এর মধ্যে উর্মি ও তার ছেলে রাফিনকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়েছে। আর গৃহকর্মী মনিকে এসডিইউতে রাখা হয়েছে।
মালিহা আনহা উর্মির শরীরের ৭০ শতাংশ এবং শিশু রাফিন ও গৃহকর্মী মনি আক্তারের শরীরের প্রায় ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। এছাড়া রফিকুলের শরীরের প্রায় ২ শতাংশ দগ্ধ হয়।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন এস এম আইউব হোসেন বলেন, “গুলশান থেকে দগ্ধ চারজনকে এখানে আনা হয়। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এর মধ্যে মালিহা ও রাফিনকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে।”
এদিকে দগ্ধদের এক স্বজন ইমদাদুল হক বলেন, “ওই ভবনের দোতলার পাশ দিয়ে ইলেকট্রিক লাইন গেছে, সেখানে বৈদ্যুতিক ট্রান্সমিটার বিস্ফোরণ হয়। এতে জানালার কাচ ভেঙে আগুন ফ্ল্যাটের ভেতরে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ফ্ল্যাটে থাকা এসি ও ফ্রিজ বিস্ফোরণ হয়। এ সময় বাড়িতে থাকা চারজনই আহত হন।”
এর আগে আজ বেলা সাড়ে ১১টার একটু পরে গুলশান-২-এর ১০৩ নম্বর সড়কের ছয়তলা বিশিষ্ট ৩৮ নম্বর ভবনের দোতলায় এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে।