দেশে যেসব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান নিয়ে গ্রাহকের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার হার্ডলাইনে যাবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আইআইটি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, “দেশে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সরকারকে সহায়তার শেষ তারিখ হলো ৩১ মার্চ। এর মধ্যে যদি তারা সাহায্যের জন্য আসে, তাহলে সর্বাত্মক সাহায্য করা হবে। একইসঙ্গে তাদের ব্যাংকিং সমস্যাগুলোও সমাধানের চেষ্টা করা হবে।”
সফিকুজ্জামান বলেন, “সার্বিকভাবে আমার যা মনে হয়, ই-কমার্সের যে অস্থির অবস্থা, সেখান থেকে পর্যায়ক্রমে আমরা বেরিয়ে আসছি। যারা এখানে বিনিয়োগ করেছেন, তাদের বলতে চাই, অনেকেই ধৈর্যহারা হয়ে গেছেন, ধৈর্যহারা হলেই যে দশদিনের মধ্যে ঠিক করে দেব- এত সহজ নয়, অনেক জটিলতা রয়েছে।”
যেমন কিছু টাকা দেশের বাইরে চলে গেছে। সেই টাকা ফেরত আনতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন। এছাড়া কিছু টাকা এসএসএল, হস্টার বা অন্য পেমেন্ট গেটওয়েতে আছে বলেও জানান তিনি।
অতিরিক্ত সচিব আরও বলেন, “গ্রাহকদের দাবি অনেক বেশি। কিছু প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসছে, তাদের নিজস্ব কিছু সম্পত্তি দিয়ে সমন্বয় করার চেষ্টা করছে। আমাদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যে টিম কাজ করছে, তাদের মূল ফোকাস হচ্ছে আমরা এদের রিহ্যাব করতে চাই। তারা যাতে ব্যবসায় ফেরত আসতে পারে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সরকার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে সাপোর্ট করতে চায়। সরকারের এ সাপোর্টটা গ্রহণ করা দরকার। গ্রাহকদের যে টাকাটা আটকে আছে, সেটা ফেরত দিতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। সেটা নিয়েই আমরা কাজ করছি। তবে এ কাজের একটা শেষ আছে।”
আমরা বছরব্যাপী এ কাজ করতে পারব না। এ জন্য ৩১ মার্চ পর্যন্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানিগুলোকে সুযোগ দিচ্ছি। তারা যোগাযোগ করে একটা প্রসেসের মধ্যে আসুক বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, “আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে যদি কোনও প্রতিষ্ঠান যোগাযোগ না করে বা তাদের প্রতিনিধি যদি এখানে পজিটিভভাবে না আসে, সেক্ষেত্রে আমাদের পরিকল্পনা আছে, আমরা হার্ডলাইনে যাব। যারা আমাদের আহ্বানে সাড়া দেবে, আমাদের কাছে সাহায্য চাইবে, তাদের আমরা আইনানুগ সাহায্যের চেষ্টা করব। কিন্তু দেশের ভেতর থেকে লুকোচুরি করবে, তা হবে না।”