“যে স্বাধীনতা আমরা অর্জন করেছি, তা ধরে রেখে এর সুফল আমরা ঘরে ঘরে পৌঁছাব। এটাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা সেটা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।”
বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) স্বাধীনতা পদক-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ বছর জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৯ ব্যক্তি ও ২ প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা প্রদান করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের দেশের আনাচেকানাচে অনেক মানুষ পড়ে আছেন, যারা মানুষের সেবা করেন নিজের উদ্যোগে। সেই ধরনের মানুষগুলোকে খুঁজে বের করতে হবে। তাঁদেরও পুরস্কৃত করতে হবে। যারা মানুষের কল্যাণে ও দেশের উন্নয়নে অবদান রেখে যাচ্ছেন, হয়তোবা তারা প্রচারে আসেন না, দৃষ্টিসীমার বাইরে থাকেন। তাদের খুঁজে বের করে পুরস্কৃত করা উচিত।”
শেখ হাসিনা আরও বলেন, “মানুষের সেবা ও কল্যাণের মাধ্যমে যে আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায়, হাজার ধন-সম্পদ বানালেও সেটা হয় না, সেটা আসে না। তাই সেভাবেই আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে। খুঁজে বের করতে হবে কারা মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সেবা দিচ্ছেন, কাজ করছেন।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যে জাতি নিজের মায়ের ভাষা ও স্বাধীনতার জন্য বুকের রক্ত দেয়। সেই জাতিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারে না। যেটা জাতির পিতা তাঁর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলেন। আমিও তাই বিশ্বাস করি।”
এবার ‘স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ’ ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী, শহীদ কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা (বীরবিক্রম), আব্দুল জলিল, সিরাজ উদদীন আহমেদ, মরহুম মোহাম্মদ ছহিউদ্দিন বিশ্বাস এবং মরহুম সিরাজুল হক স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন।
‘চিকিৎসাবিদ্যা’ শ্রেণিতে অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া ও অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল ইসলাম, ‘স্থাপত্যে’ স্থপতি সৈয়দ মাইনুল হোসেনকে (মরণোত্তর) স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়।
এ ছাড়া গবেষণা ও প্রশিক্ষণে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটকে এবারের স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়। দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন নিশ্চিত করায় স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।