জাতীয় ঈদগাহ মাঠে আগামীকাল রোববার সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সাবেক প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার (১৯ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মুহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
সাইফুর রহমান বলেন, “সাহাবুদ্দীন আহমদের প্রথম জানাজা শনিবার বেলা ২টায় নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলায় তার নিজ গ্রাম পেময়ীতে অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় জানাজা রোববার সকাল ১০টায় জাতীয় ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।”
শনিবার (১৯ মার্চ) সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা যান সাহাবুদ্দীন আহমদ। তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
ফেব্রুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে সাহাবুদ্দীন আহমদকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। কয়েক বছর ধরে সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন।
সাহাবুদ্দীন আহমদ ১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার পেমই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম তালুকদার রিসাত আহমেদ।
সাহাবুদ্দীন আহমেদের স্ত্রীর নাম আনোয়ারা বেগম। তার পাঁচ ছেলেমেয়ে। তার বড় মেয়ে ড. মিসেস সিতারা পারভীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। দ্বিতীয়া মেয়ে মিসেস সামিনা পারভীন একজন স্থপতি। তার ছেলে শিবলী আহমেদ একজন পরিবেশ প্রকৌশলী। আরেক ছেলে সোহেল আহমেদ কলেজছাত্র। সবার ছোট মেয়ে সামিয়া পারভীন চারুকলা কলেজের ছাত্রী।
বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত আইনবিদ ছিলেন। তিনি ষষ্ঠ প্রধান বিচারপতি এবং দুবার রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি প্রথমে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯১ সালের ৯ অক্টোবর পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে রাষ্ট্রপতি হিসেবে এবং পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতায় থাকাকালীন ১৯৯৬ সালের ২৩ জুলাই থেকে ২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।