করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে করা প্রতারণার মামলার বিচারকাজ আগামী ২৩ মের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এই সময়ের মধ্যে বিচারকাজ শেষ না হলে তার জামিন বিবেচনা করতেও বলেছেন আদালত।
বুধবার (৯ মার্চ) বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সাবরিনার জামিন বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে এ রায় দেন।
এদিন আদালতে ডা. সাবরিনার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. নুর উস-সাদিক।
এর আগে ২০২১ সালের ১৪ ডিসেম্বর করোনার ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগের মামলায় গ্রেপ্তার জেকেজি হেলথকেয়ারের ডা. সাবরিনা শারমিন হোসেনকে জামিন দিতে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেন ডা. সাবরিনা ও তার স্বামীর প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথকেয়ার। এসব রিপোর্টের বেশির ভাগই ভুয়া বলে ধরা পড়ে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা হয়।
এরপর ৫ আগস্ট এ মামলায় ঢাকা সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী। ২০২০ সালের ২০ আগস্ট সাবরিনাসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত।
চার্জশিটভুক্ত অপর আসামিরা হলেন ডা. সাবরিনার স্বামী আরিফুল চৌধুরী, সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, জেকেজি হেলথকেয়ারের নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইন্সেসের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা ও বিপ্লব দাস। তারা সবাই কারাগারে।
ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে মামলাটি বিচারাধীন। ইতোমধ্যে মামলাটিতে ২৩ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। পাশাপাশি আগামী ২২ মার্চ মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য রয়েছে।