আবারও শ্রমবাজার খোলা নিয়ে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া সমঝোতা স্মারক বা এমওইউ স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে।
রোববার (১৯ ডিসেম্বর) কুয়ালালামপুরে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবে।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল (শনিবার) রাতে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে দেশটি সফরে গেছেন। আশা করা হচ্ছে, রোববার কুয়ালালামপুরে দুই দেশের মধ্যে এমওইউ সই হবে।
দেশটির স্থানীয় সময় ভোর ৫টায় বিমানবন্দরে অবতরণ করলে মন্ত্রীকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান নেতারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ওহিদুর রহমান ওহিদ, কামরুজ্জামান কামাল, রাশেদ বাদল, মনিরুজ্জামান মনির, এ কামাল চৌধুরী প্রমুখ।
শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী জানান, আশা করছি, রোববার সকালে এমওইউ সই হবে। আমরা বাজারটি ওপেন করতে চাই। মার্কেট খুলবে।
এদিকে দীর্ঘ তিন বছর বন্ধ থাকার পর গত ১০ ডিসেম্বর (শুক্রবার) বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে অনুমোদন দেয় মালয়েশিয়া। বাংলাদেশ থেকে সব পেশার শ্রমিক নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে দেশটি। বিশেষ করে গৃহকর্মী, বাগান, কৃষি, উৎপাদন, পরিষেবা, খনি ও খনন এবং নির্মাণ খাতে বাংলাদেশি কর্মী নেবে দেশটি।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা যায়, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলার চেষ্টা বারবার ব্যাহত করেছে ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সি। তাদের তৈরি সিন্ডিকেটের অবৈধভাবে এ বাজার দখলের চেষ্টায় ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এটি বন্ধ হয়ে যায়। ওই সময় প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ কমিটির বৈঠকে ১ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশের শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ করে দেয় দেশটি।
বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগ বন্ধের যুক্তি হিসেবে সে সময় মাহাথির উল্লেখ করেন, জনশক্তি রফতানিতে একতরফা ভেঙে দেওয়া এবং লোক পাঠানের খরচ কমাতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এখন শুধু ১০টি এজেন্সি বাংলাদেশের লোকজনকে মালয়েশিয়ায় পাঠাতে পারে। এটি একধরনের একচেটিয়া প্রক্রিয়া।
অন্যদিকে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বলছে, ২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ৭৫ হাজার ৯২৭ জন, ২০১৯ সালে ৫৪৫ জন, ২০২০ সালে ১২৫ জন এবং চলতি বছর মাত্র ১৪ বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় কর্মী হিসেবে গেছেন। এখন পর্যন্ত দেশটিতে ১০ লাখ ৫৭ হাজার ২১৩ বাংলাদেশি কর্মী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।