• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শৈত্য প্রবাহে নাকাল দেশ


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২২, ০৮:৪১ পিএম
শৈত্য প্রবাহে নাকাল দেশ
ছবি: সংগৃহীত

দেশের অর্ধেক জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে শৈত্য প্রবাহ। কোথাও হালকা, আবার কোথাও মাঝারি ধরনের এই শৈত্য প্রবাহে নাকাল পুরো দেশ।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ খুলনা, রাজশাহী, ঢাকা, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের ৩০টির বেশি জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে শৈত্য প্রবাহ। থার্মোমিটারের পারদ ফের নেমে এসেছে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে, এর সঙ্গে রয়েছে কনকনে শুকনো বাতাস। ফলে বাইরে বের হলে গরম কাপড়েও কমছে না শীত অনুভূতি।

এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান জানান, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ অবস্থা করছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে।

এ অবস্থায় আগামীকাল সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এছাড়া মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও নদী-অববাহিকায় মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়বে।

এদিকে টাঙ্গাইল, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, রাঙ্গামাটি, ফেনী, মৌলভীবাজার, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল এবং ভোলা জেলা ও সীতাকুণ্ড উপজেলাসহ রংপুর এবং রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। ঢাকায় পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় এ সময় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ৬ থেকে -১২ কি.মি.।

এরপর দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) নাগাদ রাতের তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে। 
আর বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা রয়েছে।

অন্যদিকে আজ (রোববার) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে ২৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

চলতি মৌসুমে এবার সবচেয়ে কম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় গত ২৮ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৬১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি বছর এ নিয়ে তৃতীয়বার আর এই শীতে চলছে চতুর্থ শৈত্য প্রবাহ। 
 

Link copied!