• ঢাকা
  • শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শহীদজায়া মুশতারী শফীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২০, ২০২১, ০৮:২৮ পিএম
শহীদজায়া মুশতারী শফীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা, নারীনেত্রী ও সাহিত্যিক শহীদজায়া বেগম মুশতারী শফীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (২০ ডিসেম্বর) এক শোকবার্তায় দেশের প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক ও নাগরিক আন্দোলনে মুশতারী শফির অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী মরহুমার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

এর আগে বিকেলে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুশতারী শফি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।

মুক্তিযুদ্ধের এই শহীদজায়া কিডনি ও রক্তে সংক্রমণসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। এরই মধ্যে গত ২ ডিসেম্বর তাকে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আনা হয়। গত ১৪ ডিসেম্বর তাকে ভর্তি করা হয় সিএমএইচে। তিনি দুই ছেলে ও চার মেয়েসহ অসংখ্য স্বজন-গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

এদিকে মুশতারী শফীর মৃত্যুতে দেশের সাহিত্য-সংস্কৃতি অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমেছে।

১৯৩৮ সালের ১৫ জানুয়ারি বেগম মুশতারী শফী জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক কয়েকটি অসাধারণ গ্রন্থ লিখেছেন। 

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো : ‘মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রামের নারী’, ‘চিঠি, জাহানারা ইমামকে’ ও ‘স্বাধীনতা আমার রক্তঝরা দিন’। এছাড়াও তিনি প্রবন্ধ, উপন্যাস, ভ্রমণকাহিনি, কিশোর গল্পগ্রন্থ, স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থও লিখেছেন।

১৯৬০-এর দশকে তিনি চট্টগ্রামে ‘বান্ধবী সংঘ’ নামে নারীদের একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। এ সংগঠন থেকে তিনি ‘বান্ধবী’ নামে একটি নিয়মিত পত্রিকা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি ‘মেয়েদের প্রেস’ নামে একটি ছাপাখানা চালু করেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অনন্য ভূমিকা পালনের জন্য বাংলা একাডেমি ২০১৬ সালে তাকে ‘ফেলোশিপ’ প্রদান করে। এছাড়া তিনি গত বছর ২০২০ সালে পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় পুরস্কার ‘রোকেয়া পদক’।

ব্যক্তিগত জীবনে বেগম মুশতারী চট্টগ্রামের চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ শফীর স্ত্রী। সাত সন্তানের জনক-জননী তারা। 

১৯৭১ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মোহাম্মদ শফি ও তার ছোট ভাই এহসান পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে শহীদ হন।

এছাড়া স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠাতে শফী পরিবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মুশতারীর দাদা কাজি আজিজুল হক ছিলেন একজন বাঙালি উদ্ভাবক ও ব্রিটিশ ভারতীয় পুলিশে কর্মরত একজন কর্মকর্তা। তিনি হস্তছাপ রক্ষণের মাধ্যমে অপরাধী সনাক্তকরনের উদ্ভাবক হিসেবে পরিচিত।

Link copied!