ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুনে দগ্ধ আরও চার জনকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে আনা হয়েছে।
শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তারা হলেন- আল নোমান আলিফ (১৯), তানজিল হেসেন তুষার (১৯), তৌহিদুল হক (৪৫) ও বশির (৩৫)।
গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন।
ডা. এসএম আইউব হোসেন বলেন, “এমভি অভিযান লঞ্চে আগুনে দগ্ধ আরও দুজন আমাদের এখানে এসেছেন। তাদের মধ্যে আল নোমান আলিফের শরীরের ১ শতাংশ, তানজিল হেসেন তুষারের ৪ শতাংশ, তৌহিদুল হকের শরীরের ২ শতাংশ ও বশিরের শরীরের ৬ শতাংশ ফ্লেম বার্ন হয়েছে।”
আইউব হোসেন আরও বলেন, “বার্ন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে। এখন পর্যন্ত আমাদের এখানে মোট ২১ জন দগ্ধ হয়ে এসেছিলেন। এদের মধ্যে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন এবং একজনকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে।”
এর আগে ঝালকাঠির পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকায় বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চে আগুন লাগে।
এমভি অভিযান-১০ এর কেবিন বয় ইয়াসিন জানান, লঞ্চের নিচতলার পেছনে ইঞ্জিন রুমের পাশের ক্যান্টিনে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। সেখান থেকে প্রথমে ইঞ্জিন রুমে ও তারপর পুরো লঞ্চে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
আগুনের ঘটনা তদন্তে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিনটি কমিটি করা হয়েছে।