• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজধানীর গ্যাস-সংকট জানুয়ারিতেও কমছে না!


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২২, ০৮:৫৭ এএম
রাজধানীর গ্যাস-সংকট জানুয়ারিতেও কমছে না!

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস-সংকট দেখা দেওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে নগরবাসী। বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত গ্যাস সংকট ছিল রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকায়। ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত গ্যাস-সংকট থাকবে বলে জানিয়েছে পেট্রোবাংলা।

তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ জানায়, গ্যাসের সংকট ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকবে। দৈনিক ২২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রয়োজন আমাদের। তবে বর্তমানে ১৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ হচ্ছে। বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে কূপ সংস্কারের জন্য প্রতিদিন ৫ কোটি ঘনফুট গ্যাসের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত এই সংস্কার কাজ চলবে। তবে বিদ্যমান সংকটের তীব্রতা চলতি জানুয়ারিতেও কমছে না। 

বৃহস্পতিবার রাতে পেট্রোবাংলার জানান, ২১ জানুয়ারি পর এমনটা থাকবে না বলে আশা করা যাচ্ছে। বিবিয়ানা গ্যাসফিল্ডের সমস্যা ও রূপান্তরিত তরল গ্যাস এলএনজির একটি সংযোগ লাইন ভেঙে যাওয়ায় এই গ্যাস-সংকট দেখা দিয়েছে।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান জানান, দেশের গ্যাসক্ষেত্র থেকে উৎপাদন কমে যাচ্ছে এবং এলএনজি সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাই এই সংকট শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি সামলে নিতে ইতোমধ্যে দুটি কূপ ওয়ার্কওভার করা হয়েছে। সেখান থেকে ৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মিলছে। বিবিয়ানা উৎপাদনে এলে আর এলএনজি টার্মিনাল চালু হলেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আরও জানান, আন্তর্জাতিক খোলা বাজারে এলএনজির দাম তিন গুণ বেড়ে গেছে। সরকারও এলএনজি কেনার বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করছে। তাতে এলএনজির সরবরাহও কম রয়েছে। তার প্রভাবে সামগ্রিক গ্যাসের সরবরাহও কম।

রাজধানীজুড়ে গ্যাস-সংকট হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। দিনভর গ্যাস না পেয়ে কেউ বিদ্যুৎচালিত চুলায় রান্না করেছে। কেউ হয়তো রাতেই সারা দিনের রান্না সেরে নিচ্ছেন। আবার অনেককেই বাইরের খাবার খেতে হচ্ছে।

বাড্ডা এলাকার বাসিন্দা ইসরাত জাহান বলেন, 'করোনা পরিস্থিতিতে বাইরের খাবারও এখন স্বাস্থ্যকর নয়। কিন্তু উপায় না পেয়ে তাই খেতে হয়েছে। বিদ্যুতের চুলা ব্যবহার করাও ঝামেলা। কার্ড শেষ হলে সেখানেও ভোগান্তি বাড়ে।'

Link copied!