রাজধানীতে বেশ কিছুদিন ধরে যানজট পরিস্থিতি চরমে দেখা দিয়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন স্থানে যানজট নাগরিক দুর্ভোগ বাড়িয়ে তুলেছে।
বুধবার (৯ মার্চ) সকাল ৭টায় গাজীপুর থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে যেতে যেতে যানজট চোখে পড়ল বিভিন্ন স্থানে। তার মধ্যে তীব্র যানজট ছিল আব্দুলাহপুর, জসিমউদ্দিন থেকে এয়ারপোর্ট, খিলক্ষেত থেকে বনানী, মহাখালী থেকে পুরানা পল্টন পর্যন্ত বেশি যানজট ছিল।
ইসহাক মিয়া নামের এক যাত্রী বলেন, “যানজটে অতিষ্ঠ এখন আমরা। যার কারণে ঠিকমতো অফিসে পৌঁছাতে পারি না। বেশির ভাগ সময় দেরি করে অফিসে ঢুকতে হয়। এমনিতে করোনাকালীন আবার চাকরি চলে যাওয়ার একটা ভয় তো থাকছেই।”
যানজটে দাঁড়িয়ে থাকা সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক বশির উদ্দিন বলেন, “চার-পাঁচ দিন ধরে রাজধানীতে যানজট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এ কারণে আমাদের ট্রিপ কমে গেছে। আগে যেখানে দিনে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা আয় করা যেত, সেখানে এখন ২ হাজার টাকাও আয় করতে পারছি না। অটোরিকশার মালিককে দিনের জমা দিতে অনেক কষ্ট হচ্ছে।”
মোটরসাইকেলচালক রুবেল রানা বলেন, “যানজট বেড়ে যাওয়ায় আগে আমরা যেখানে ৩০ মিনিট অর্থাৎ আধা ঘণ্টায় যেতে পারতাম, সেখানে এখন দ্বিগুণ সময় লাগছে। যার কারণে আমাদের ট্রিপও কমে গেছে।”
অটোরিকশার যাত্রী নাজমীর আহমেদ বলেন, “একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য অনেক সময় নিয়ে বাসা থেকে বের হয়েছি। তারপরও পথে আটকা পড়তে হলো। ঢাকায় একের পর এক ফ্লাইওভার তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু যানজট নিরসন হচ্ছে না।”
সাতরাস্তা থেকে গুলিস্তানমুখী যাত্রী পারভেজ ইসলাম বলেন, “রাস্তায় যাত্রী সংখ্যা বেড়ে গেছে। আবার মেট্রোরেল, উড়ালসড়ক, বিভিন্ন স্থানে সড়ক নির্মাণ ও প্রশস্তকরণ কাজের জন্য চলাচলের রাস্তা কমে গেছে রাজধানীতে। যার কারণে বেশি যানজট হচ্ছে।”