• ঢাকা
  • শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

মোমেনকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোন


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২২, ০৯:৩০ পিএম
মোমেনকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোন
ছবি: সংগৃহীত

দুই দেশের সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী পালন উপলক্ষে ওয়াশিংটন সফরের জন্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিঙ্কেন।

বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ব্লিঙ্কেন তাকে টেলিফোনে এ আমন্ত্রণ জানান বলে জানিয়েছেন আব্দুল মোমেন।

আব্দুল মোমেন বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এক বার্তায় বাংলাদেশকে ওয়াশিংটন মিশনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। তখন ব্লিঙ্কেন নিজেই গত ডিসেম্বরে টেলিফোনে ব্যক্তিগত বৈঠকের জন্য তার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। সে সময় তিনি (ব্লিঙ্কেন) বলেছিলেন, এই বছরের বসন্তে ওয়াশিংটন ডিসিতে আমার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করতে চান।”

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৪ এপ্রিল ওয়াশিংটনে মোমেনকে বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ব্লিঙ্কেন।

সূত্রটি আরও জানায়, ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ওই দিন ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ চ্যান্সারিতে যৌথ উদযাপনের পরিকল্পনা করছে। ঐতিহাসিক ওই মুহূর্তে ব্লিঙ্কেনও যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

১৯৭২ সালের ৪ এপ্রিল বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। যদিও বিজয়ের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে এবং পাকিস্তানের পক্ষে ছিল দেশটি।

এর আগে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগ তুলে র‍্যাবের বর্তমান ও সাবেক ৭ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় বাইডেন প্রশাসন।

নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়ে আনুষ্ঠানিক জবাব দেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বিদায়ী বছরের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর মোমেনের স্বাক্ষর সংবলিত ওই চিঠি ওয়াশিংটনে গেছে বলে সরকারি একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

চিঠিতে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদকসহ আন্তরাষ্ট্রীয় অপরাধ দমনে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগ ও কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত তুলে ধরেছেন মন্ত্রী। সে সঙ্গে ‘দুঃসাহসিক এসব কাজে’ এলিট ফোর্স র‍্যাবসহ অন্য বাহিনীগুলোর অবদানের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রে মানবাধিকার লঙ্ঘনের হাজারো ঘটনা ঘটার পাল্টা অভিযোগও তুলে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন, “প্রতি বছর তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) পুলিশ হাজারখানেক লোক মেরে ফেলে, গুলি করে মারে। অর্থাৎ আইন-বহির্ভূত হত্যা করে। আমাদের কালেভদ্রে এক-দুইজন মারা যায়। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর ছয় লাখ লোক নিখোঁজ হয়।”

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!