মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক (জাপা) প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ভোরের দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) মারা যান।
সৈয়দ কায়সারের ছোট ভাই ফয়সালের বরাত দিয়ে আইনজীবী ব্যারিস্টার তানভীর আল আমিন ও রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার বলেন, “এখন মরদেহের ময়নাতদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। সৈয়দ কায়সার অসুস্থ হয়ে প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন ছিলেন।”
এর আগে কায়সার মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন করেছিলেন বলেও জানান তিনি।
২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর সুপ্রিমকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করেন আইনজীবী তানভীর আল আমিন।
আইনজীবী তানভীর বলেন, “মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কায়সারকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে ২০১৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর রায় দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। তার বিরুদ্ধে গণহত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠনের ১৩টি ও ধর্ষণের দু’টিসহ মোট ১৬টি অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে ১৪টি প্রমাণিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় ট্রাইব্যুনালের রায়ে। ৩, ৫, ৬, ৮, ১০, ১২ ও ১৬ নম্বর অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।”
এছাড়া ১, ৯, ১৩ ও ১৪ নম্বর অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং ২ নম্বর অভিযোগে ১০ বছর, ৭ নম্বর অভিযোগে সাত বছর ও ১১ নম্বর অভিযোগে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেন আদালত। ৪ ও ১৫ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ অভিযোগগুলোতে কায়সারকে কোনো সাজা দেননি আদালত।
এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ১৯ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল দায়ের করেন সৈয়দ কায়সার। আপিলে খালাসের আরজিতে ৫৬টি যুক্তি তুলে ধরা হয়। এছাড়া ৫০ পৃষ্ঠার মূল আপিলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় নথি সংযুক্ত করা হয়।
সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়সল বলেন, “আমরা এখনও মরদেহ বুঝে পাইনি। মরদেহ বুঝে পেলে তাকে মাধবপুর উপজেলার, করেনোয়াপাড়ায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হবে।”