মশক নিধনে কদম গাছ রোপণের জন্য বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সারা দেশে ডেঙ্গু ও মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সিটি করপোরেশন ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থার কার্যক্রম পর্যালোচনার জন্য ২০২২ সালের প্রথম আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, “এখানে সব সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আছেন। আমি আপনাদের অনুরোধ করব, আপনারা যখন বিভিন্ন কর্মসূচিতে গাছ লাগাবেন তখন কদম গাছ লাগাবেন, এটা আমাদের জন্য সহায়ক হবে। কদম গাছে যে জৈব বিষয় আছে তা মশক নিয়ন্ত্রণ করে। কদম গাছে ফিঙে নামে একটি পাখি বসে এবং বাসা বাঁধে। ফিঙে পাখি মশকসহ অন্যান্য পোকামাকড় খায়। ফলে ওই পাখির মাধ্যমে মশক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।”
তাপস আরো বলেন, “আমরা এ জৈব কার্যক্রমটা আরও জোরদার করতে চাই। কারণ দীর্ঘ মেয়াদে কীটনাশক ব্যবহার করা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই আপনাদের প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে, আপনারা কদম গাছ যত বেশি লাগাবেন আমাদের জন্য সেটা সহায়ক হবে।”
এসময় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী বলেন, “আমি নিমগাছ একটু বেশি লাগাই। তুলসি, নিম, আর পুদিনা একসঙ্গে লাগালে অনেক সময় মশা মরে যায়। এটাতে বেশি জোর দিয়েছিলাম। কদমটা একটু পরিহার করতাম। এখন আবার কদমের দিকে জোর দেবো।”
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. আসাদুর রহমান কিরণ।
এছাড়াও স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।