• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

‘ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০২২, ০৭:৩৩ পিএম
‘ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে’

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণে ধীরগতি এবং ভোট কম পড়ার কারণ এক সপ্তাহের মধ্যে খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।

এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষ থেকে টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) ষষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচন ভবনে এসব কথা বলেন তিনি।

ইসি সচিব বলেন, “আজকের ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু এবং সুন্দর পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। তবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণে ধীরগতি ছিল। এতে ভোট কম পড়েছে। ৫৫ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। মাঠ পর্যায়ের যে তথ্য পেয়েছি, তাতে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি কোনো কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়নি।”

এ সময় ইভিএমে ভোট কম পড়ার কারণ জানতে চাইলে হুমায়ুন কবীর বলেন, “অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ভোটারের আঙুলের ছাপ ম্যাচ করে না। এতে ভোট দিতে অসুবিধা হয়। ধীরগতি হয়। আমরা নির্বাচনের আগে মক ভোট নেই। প্রত্যাশা থাকে ভোটাররা আসবেন। কিন্তু তারা অনেকে আসেন না। আমাদের সম্মানিত মা-বাবা যারা থাকেন, তারা ভোট দিতে এলে বোঝাতে সময় লেগে যায়। ফলে বাইরে দীর্ঘ লাইন হয়। অনেকে ফেরত চলে যান।”

এদিকে ভোটাররা যাতে অপেক্ষা করেন, ফেরত না যান সেজন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমরা মাঠ পর্যায়ের মতামত চেয়েছি। এছাড়া টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে এক সপ্তাহের মধ্যেই বৈঠকে বসব। কীভাবে ইভিএমে ভোটগ্রহণের গতি বাড়ানো যায়, ভোট পড়ার হার বাড়ানো যায়, তা নিয়ে বসব।”

অন্যদিকে ইসির যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামান জানান, “দেশের ২২টি জেলার ৪২টি উপজেলায় মোট ২১৮টি ইউপিতে ষষ্ঠ ধাপের নির্বাচন হয়েছে। এতে চেয়ারম্যান পদে এক হাজার ১৯৯ জন, সাধারণ সদস্য পদে সাত হাজার ৮৪৬ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে দুই হাজার ৫৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।”

এর মাঝে চেয়ারম্যান পদে ১২ জন, সাধারণ সদস্য পদে ১০০ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৩২ জনসহ মোট ১৪৪ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

ইসির যুগ্ম সচিব জানান, “এ পর্যন্ত তফসিল দেওয়া হয়েছে চার হাজার ১৩৮টি ইউপিতে। মোট চার হাজার ৫৭৪টির মধ্যে ৪৩৬টি ইউপিতে মামলা ও সীমানা নিয়ে জটিলতা থাকায় নির্বাচন করা যায়নি।”

এর আগে সারা দেশে পাঁচটি ধাপের নির্বাচন সম্পন্ন করেছে ইসি। আর সপ্তম ধাপে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি এবং ১০ ফেব্রুয়ারি অষ্টম ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

Link copied!