বাগেরহাটের মোল্লাহাটে বাবাকে হত্যার দায়ে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি ছেলে তুহিন কাজীকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ মামলার ডেথ রেফারেন্স, ফৌজদারি আপিল ও জেল আপিলের ওপর শুনানি শেষে রোববার (২৭ মার্চ) বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন এবং বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করে।
একই সঙ্গে মামলাটি পুনঃবিচারের জন্য নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী ফরহাদ আহমেদ ও শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জী।
রায়ের পরে আইনজীবী ফরহাদ আহমেদ বলেন, “ডেথ রেফারেন্স খারিজ ও আসামির আপিল মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট। ফলে একমাত্র আসামি তুহিন কাজী খালাস পেয়েছেন। পাশাপাশি মামলাটি পুনরায় পরিচালনা করতেও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।”
ফরহাদ আহমেদ বলেন, “এই মামলায় শুধুমাত্র ছেলের জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে তাকে বিচারিক আদালত সাজা দিয়েছেন। অথচ এ আসামি কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। মাঝে মাঝেই তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। এরকম একজন ব্যক্তিকে কখনই শুধুমাত্র তার জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে সাজা দেওয়া যায় না। এসব বিবেচনায় নিয়ে আদালত তাকে খালাস দিয়েছেন।”
মামলার অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে ২০১৪ সালের ৫ আগস্ট ভোর ৪টায় তুহিন কাজী তার বাবা আবু সাঈদ কাজীকে ঘুমন্ত অবস্থায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন। এ ঘটনায় আবু সাঈদের মেয়ে সুমি আক্তার ভাই তুহিন কাজীকে আসামি করে মোল্লাহাট থানায় হত্যা মামলা করেন।
তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি তুহিনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। পরে মামলার বিচার শেষে ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট বাগেরহাটের বিচারিক আদালত তুহিনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
পরে নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডের সাজা অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামি জেল আপিল ও ফৌজদারি আপিল করেন। এর শুনানি শেষে রোববার রায় ঘোষণা করা হয়।