করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে শনাক্ত হয়েছে। ভাইরাসটির নতুন এ ধরনে দুইজন আক্রান্ত হয়েছেন।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকা শিশু হাসপাতালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
জানা গেছে, জিম্বাবুয়ে-ফেরত দুই নারী ক্রিকেটার দেশে ফিরলে তাদের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে তাদের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। পরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) জিনোম সিকোয়েন্স পরীক্ষায় তাদের দেহে ধরা পড়া ধরনটি ওমিক্রন বলে নিশ্চিত করা হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আইইডিসিআরের একজন কর্মকর্তা বলেন, “আক্রান্ত দুজন নারী ক্রিকেটার ভালো আছেন। তাদের শরীরে মৃদু লক্ষণ রয়েছে। দুজনকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।”
গত ৬ ডিসেম্বর (সোমবার) রাতে সাংবাদিকদের স্বাস্থ্য মহাপরিচালক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম বলেন, “১ ডিসেম্বর জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দল জিম্বাবুয়ে থেকে ফিরে আসে। তাদের সবাইকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে পাঠানো হয়েছে।”
এরপর গত ১, ৩ ও ৫ ডিসেম্বর তিন দফায় তাদের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তৃতীয় টেস্টের পর আজ দুই খেলোয়াড়ের পজিটিভ পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।
এদিকে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ‘ওমিক্রনের’ কারণে স্থগিত হয়ে যায় জিম্বাবুয়েতে মেয়েদের বিশ্বকাপ বাছাই। যেখানে র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকায় বিশ্বকাপে পা রেখেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। আগামী বছর নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপ। সেখানে টাইগ্রেসরা খেলবে প্রথমবারের মতো।
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট অতিসংক্রামক হলেও ভাইরাসের ডেল্টা ধরনের তুলনায় দুর্বল বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
তবে সংস্থাটি বলছে, ভাইরাসের আগের ধরনগুলোতে সংক্রমিত ব্যক্তি বা টিকা নেওয়া ব্যক্তিদের সহজেই সংক্রমিত করতে পারে ওমিক্রন। তবে এই সংক্রমণের প্রভাব মৃদু।
এর আগে গত ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথমবারের মতো ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপরই তা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে।