রাজধানীর রূপনগর থানার উপপরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ করা রাশেদা বেগম (৫৩) নামের সেই নারীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) র্যাব সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।, বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ওই নারীকে তার রূপনগরের বাসায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। মানব পাচারের অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া অন্যজন হলেন মাহমুদা আক্তার মিম (২৪)।
গত ২১ আগস্ট আইজিপির কমপ্লেইন মনিটরিং সেল ও ডিএমপির পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগে রূপনগর থানার উপপরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে রাশেদা বেগম তার গরু বিক্রির আড়াই লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তোলেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায় ,প্রতারণামূলক ফাঁদে ফেলে উচ্চ বেতনে লোভনীয় চাকরির প্রলোভনে নারী পাচারে জড়িত রয়েছে কয়েকটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট। এসব ঘৃণিত মানব পাচারকারী চক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র্যাব সদা সচেষ্ট। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৪-এর একটি দল ১ সেপ্টেম্বর রূপনগর থানাধীন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মানব পাচারকারী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় একজন ভুক্তভোগীকেও উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা পাচারকারী চক্রের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত বলে তথ্য দিয়েছেন। পার্শ্ববর্তী দেশেও তারা নারী ও তরুণীদের পাচার করতেন। তাদের মূল টার্গেট ছিল দরিদ্র ও নিম্নমধ্যবিত্ত তরুণীরা। আরও ১০-১৫ জন এই চক্রের সঙ্গে জড়িত বলে অপরাধীদের স্বীকারোক্তিতে জানা যায়।
র্যাবের দাবি, গ্রেপ্তার হওয়া নারীরা ভুক্তভোগীকে অর্থের বিনিময়ে ‘অনৈতিক কাজ’ করতে বাধ্য করতেন।
এদিকে প্রতিবেশীরা জানান, রাশেদা বেগম বাসা ভাড়া করে তার ‘স্বামী’ সোহাগের সঙ্গে থাকতেন। তবে বিষয়টি সম্পর্কে সোহাগ অস্বীকার করেন।
সোহাগ বলেন, “আমি ওই বাসায় ১৫ মাস ধরে আছি। ওই তরুণীকে বিয়ে করিনি। আড়াই মাস হলো রাশেদা জোর করে ওই তরুণীকে এনে আমাদের স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে সেখানে থাকতে বলে।”
তবে রাশেদার মেয়ে মণি অভিযোগ করে বলেন, “তিন মাস আগে সোহাগ ওই তরুণীকে স্ত্রী পরিচয়ে নিয়ে আসেন। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় আমার মাকে ফাঁসানো হয়েছে।”