• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পুলিশের এভিয়েশন উইংয়ে যোগ দিচ্ছেন চার পাইলট


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ২১, ২০২২, ০৫:৪২ পিএম
পুলিশের এভিয়েশন উইংয়ে যোগ দিচ্ছেন চার পাইলট

বাংলাদেশ পুলিশের এভিয়েশন উইং পাচ্ছে চার পাইলট। সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পদ মর্যাদার চার জন পাইলট খুব শিগগিরই এভিয়েশন উইংয়ে যোগদান করবেন।

সোমবার (২১ মার্চ) পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, পুলিশের এই চার পাইলট আর্মি এভিয়েশন স্কুলে হেলিকপ্টার চালনোর প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। পুলিশের চারজন প্রশিক্ষণার্থী ইতোমধ্যে তাদের একক উড্ডয়ন সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন। একই সময়ে এই প্রশিক্ষণে পুলিশের চারজনসহ বিভিন্ন বাহিনীর মোট ১০ জন অংশগ্রহণ করেছিলেন।

এই প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে পুলিশের প্রশিক্ষণার্থী এএসপি ফাতেমা তুজ জোহরা সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেন। এ চারজন পাইলট হিসেবে পুলিশের এভিয়েশন উইংয়ে যোগ দেবেন বলেও পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়।

পুলিশের চার প্রশিক্ষণার্থীর প্রশিক্ষণ শেষ হওয়া উপলক্ষে সকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব প্রাইডে আর্মি এভিয়েশন গ্রুপের কমান্ডার মেজর জেনারেল আই কে এম মোস্তাহসিনুল বাকীর নেতৃত্বে আর্মি এভিয়েশন স্কুলের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ।

সভা শেষে বেনজীর আহমেদ বলেন, “এভিয়েশন উইং চালুর ফলে বাংলাদেশ পুলিশ ত্রিমাত্রিক ক্ষেত্রে সক্ষমতা অর্জন করবে। বাংলাদেশ পুলিশের নবগঠিত এভিয়েশন উইং দুর্গম অঞ্চলে দ্রুত যোগাযোগ, গুরুত্বপূর্ণ অভিযান পরিচালনা, তল্লাশি অভিযান এবং উদ্ধার কার্যক্রমে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।”

আইজিপি বলেন, “বাংলাদেশ পুলিশের নবগঠিত এভিয়েশন উইংয়ের পাইলটদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ক্ষেত্রে আর্মি এভিয়েশন স্কুল বিশেষ ভূমিকা রাখছে‌। বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ করে সেনাবাহিনীর পেশাগত সুসম্পর্ক ও সহযোগিতা রয়েছে। দেশের যেকোনো প্রয়োজন ও সংকটে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশ পুলিশ একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার এক সুদীর্ঘ ইতিহাস ও ঐতিহ্য রয়েছে।”

আগামীতে এ ধরনের সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও বাড়বে এবং সুসংহত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

নিরাপত্তাকে অক্সিজেনের সঙ্গে তুলনা করে আইজিপি বেনজীর আহমেদ বলেন, “অক্সিজেন ছাড়া যেমন কোনো মানুষ বাঁচতে পারে না, তেমনি নিরাপত্তা ছাড়া একটি সমাজ বা রাষ্ট্র কল্পনা করা যায় না। বাংলাদেশ পুলিশ দেশের ১৮ কোটি জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে নিয়োজিত রয়েছে। দেশের প্রয়োজনে, জনগণের প্রয়োজনে যখন যা করা দরকার, তাই করা হবে।”

পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অতিরিক্ত আইজি এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। 

বাংলাদেশ পুলিশের এভিয়েশন উইংয়ের জন্য রাশিয়া থেকে দুটি আধুনিক হেলিকপ্টার কেনা বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন আছে।

Link copied!