দেশের পর্যটনশিল্পের উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে কাজ করার সুযোগ দিতে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ট্যুরিজম মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে বুধবার (৯ মার্চ) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “সরকার পর্যটন বিকাশে সব ধরনের সুবিধা দেবে। পাশাপাশি এসব খাতে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে। তবে তাদের কাজ করতে যেন কোনো সমস্যা না হয়, সেটিও দেখতে হবে। তাদের নির্বিঘ্নে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। বাংলাদেশ অপরূপ সৌন্দর্যের দেশ। আমাদের পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার এবং সেগুলো পরিচ্ছন্ন করতে পারলে অনেকেই দেশে ঘুরতে আসবে বলে আমি মনে করি।”
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
এছাড়া বিমান প্রতিমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “প্রেজেন্টেশনে দেশের পর্যটন স্পটগুলোর সম্ভাবনা দেখে ভালো লাগল। আমাদের উচিত তাদের সুপারিশগুলোকে বাস্তবায়ন করে এ শিল্পকে এগিয়ে নেওয়া।”
মন্ত্রী আরও বলেন, “আমি প্রায়ই শুনি বিমানের যাতায়াত ভাড়া অন্যান্য এয়ারলাইনসের চেয়ে বেশি। বিষয়টি দেখার অনুরোধ করব।”
পর্যটন বিকাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা তুলে ধরে এম এ মান্নান বলেন, “বছর খানেক আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে থেকে বলেছিলেন রাতারগুল, বিছনাকান্দি, টাঙ্গুয়ার হাওড় ও জাফলংয়ের মতো পর্যটনকেন্দ্রের পরিকল্পনা তৈরি করতে। আমাদের নাগরিকরা এখানে যায়। এটার উন্নয়ন খুবই জরুরি। অনেকে এসব খাতে ব্যয় করে। এটা বাংলা টাকা হোক আর ডলার হোক। প্রাথমিক কাজ আমরা করবো বাকি কাজ করবে বেসরকারি খাত।”
এম এ মান্নান আরও বলেন, “পর্যটন নিয়ে ভয়ংকর কিছু চিত্র দেখলাম। নারী যায়, পুরুষ যায়, তারা বসার জায়গা পায় না। টয়লেট সুবিধা পায় না। আমরা পর্যটনের বেসিক অবকাঠামো করে দেব। বাকি কাজগুলো যেমন চা শিঙাড়ার দোকান বেসরকারি খাতকে দিয়ে দিতে হবে। আমরা এগুলো চালাতে পারব না।”
এছাড়া বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় অংশ নেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) জাবেদ আহমেদ প্রমুখ।