• ঢাকা
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫

পরীমনিকে মুক্তি না দিলে বড় সমাবেশের ঘোষণা


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২১, ০৭:১৯ পিএম
পরীমনিকে মুক্তি না দিলে বড় সমাবেশের ঘোষণা

‘জাস্টিস ফর পরীমনি’ স্লোগান নিয়ে মাদক মামলায় আটক চিত্রনায়িকা পরীমনির মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিক্ষুব্ধ নাগরিকজন।

শনিবার (১৪ আগস্ট) বিকাল ৪টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় রাজনৈতিক, সামাজিক ব্যক্তিবর্গ, নির্মাতা, প্রকাশকসহ নানা পেশার মানুষ উপস্থিত থেকে পরীমনির মুক্তি দাবি করেছেন।

বিক্ষুব্ধ নাগরিকজনের আহ্বায়ক ও শ্রাবণ প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী রবিন আহসান বলেন, “পরীমনির প্রতি অন্যায় করা হচ্ছে, তাকে দুবার রিমান্ড দেওয়া হয়েছে মাত্র পাঁচ বোতল মদের জন্য। বনানী, গুলশান, প্রেস ক্লাব, উত্তরা, সব জায়গায় মদের বোতল পাওয়া যায়। ওদরে খবর নাই। পরীমনিকে পাঁচ বোতল মদের জন্য ৮ দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে। রিমান্ডে নেওয়ার পর বলতে চেয়েছেন, পরীমনি কত খারাপ!”

রবিন আহসান আরো বলেন, “অবলম্বে যদি পরীমনিকে মুক্তি না দেওয়া হয়, তাহলে আমরা ঢাকা শহরে আরো অনেক বড় সমাবেশ করবো। পরীমনিকে দ্রুত মুক্তি না দিলে সাংস্কৃতিক সমাজকে নিয়ে বড় আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। কেউ আমাদের সঙ্গে না থাকলেও সামাজিক গণমাধ্যম আমাদের সঙ্গে আছে। শুধু পরীমনি নয়, আমরা সবাই নারী সমাজের পাশে দাঁড়াব।”

বোট ক্লাবের অবৈধ জায়গা দখল নিয়ে সাংবাদিকদের প্রতিবেদন প্রকাশ করার আহ্বান জানান তিনি।

সমাবেশে লেখক ও মানবাধিকার কর্মী শাশ্বতী বিপ্লব বলেন, “যাকে যখন ভালো লাগবে না, তাকে তখন নষ্টমেয়ের তকমা লাগিয়ে দেবেন, এটা হতে পারে না। নষ্টমেয়ের তকমা লাগানো খুবই সহজ। প্রতিটি প্রতিবাদী নারীকে নষ্টামেয়ে তকমা লাগাতে পারেন। কারা এই মেয়েদের নষ্ট করেছে? নষ্টমেয়ে ঠিক করা তো আপনাদের কাজ না। মোল্লাদের মতো আপনারা নারীদের চরিত্র হননে ব্যস্ত হয়ে গেছেন। এই কাজের জন্য আপনাদের আমরা ধিক্কার জানাই।”

উন্নয়নকর্মী মুশফিকা লাইজু বলেন, “পরীমনিকে আইনের আশ্রয় নেয়ার জন্য ন্যূনতম সুযোগ দেওয়া হয়নি। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য যে নাটকীয়তা করা হয়েছে, আদালতে তোলা পর্যন্ত যে আচরণ করা হয়েছে, প্রত্যেকটা বিষয় ছিল অমানবিক।

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি শরিফুজ্জামান শরিফ বলেন, “আইনের শাসনে দেশ চলছে না, দেশ চলছে শাসকের আইনে। একজন সংষ্কৃতিকর্মীদের সাথে গত কয়েকদিন ধরে যে আচরণগুলো করা হচ্ছে, এটি সভ্য দেশে অনাকাঙ্ক্ষিত। পরীমনির ঘটনার মধ্য দিয়ে একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে উঠছে, রাষ্ট্র আপনাকে চোখ রাঙাচ্ছে, তুমি যদি প্রভাবশালী কারো কোনো অন্যায়ের খবর ফাঁস করে দাও, তুমি যদি প্রভাবশালী কারো অপরাধের চিত্র তুলে ধরো, তাহলে তুমি যেই হও না কেন, রাষ্ট্র তোমার থুতনি চেপে ধরবে। পরীমনির সঙ্গে সেই ঘটনা ঘটছে।”

সমাবেশে উপস্থিত আরো ছিলেন নির্মাতা রাশিদ পলাশ, নির্মাতা সংগীতা ঘোষ, প্রকাশক দেলোওয়ার হোসেন, যুব ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খান আসাদুজ্জামান মাসুম, গণজাগরণ মঞ্চের উদ্যোক্তা আকরামুল হক, মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসাইন। এছাড়া লন্ডন থেকে সংহতি জানিয়ে যুক্ত ছিলেন সাংবাদিক ও লেখক আবদুল গাফফার চৌধুরী, শ্রমিক ফেডারেশনের গাজীপুর সভাপতি হেলাল মিয়া।

Link copied!