আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্যের কুশীলব যারা, তাদের তদন্তের আওতায় আনতে হবে।
রোববার (১৫ আগস্ট) রাজধানীর বনানী কবরস্থানে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সেতুমন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “নতুন প্রজন্মকে কোনো কিছুতেই অন্ধকারে রাখা যাবে না। সে জন্য তাদের স্বরূপ উন্মোচন করা উচিত।”
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, “বঙ্গবন্ধু হত্যার মঞ্চে যারা ছিলেন, শেখ হাসিনা তাদের বিচার করে জাতিকে কলঙ্কযুক্ত করেছেন। খুনিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। যারা পলাতক, তাদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে।”
এর আগে জাতীয় শোক দিবস ও ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভোরে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি সম্মান জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল তাকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। পরে ১৫ আগস্টের শহীদদের রুহের মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সবার শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এরপর দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন করে আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ১৪ দলের নেতারা।