বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে নিয়ে জায়েদ খানের করা রিটের বিষয়ে জারি করা রুলের ওপর শুনানির জন্য মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ দিন ধার্য করেন।
নিপুণের আইনজীবীর সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
নিপুণের আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ বলেন, “রিটে কিছু নথিপত্র সংযুক্ত করার জন্য নায়ক জায়েদ খানের পক্ষ থেকে এফিডেভিট আকারে জমা দেওয়া হয়েছে। সেগুলো আমরা আজ সকাল সাড়ে ১০টায় হাতে পেয়েছি। এসব নথিপত্র স্টাডি করার জন্য আদালতের কাছে সময় চাওয়া হয়েছে। তখন আদালত এ রুলের শুনানির জন্য আগামী মঙ্গলবার পরবর্তী দিন ধার্য করেন।”
এর আগে সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের ওপর চেম্বার আদালতের স্থগিতাদেশ এবং স্থিতাবস্থা বহাল করেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে এ বিষয়ে হাইকোর্টে রুল শুনানি করতে বলেন সর্বোচ্চ আদালত।
২৮ জানুয়ারি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে শনিবার ভোরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহিদুল হারুন এফডিসিতে ফলাফল ঘোষণা করেন। তাতে গত দুই মেয়াদে শিল্পী সমিতির সভাপতি থাকা মিশা সওদাগরকে ৪৩ ভোটে হারিয়ে এবার সভাপতি হন ইলিয়াস কাঞ্চন। আর সাধারণ সম্পাদক পদে হ্যাটট্রিক করা জায়েদ খানের কাছে ১৩ ভোটে হারেন ইলিয়াস কাঞ্চনের প্যানেলের প্রার্থী নিপুণ আক্তার।
তবে অর্থ দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ এনে নির্বাচনী আপিল বোর্ডে জায়েদ খান ও কার্যকরী পরিষদের সদস্য চুন্নুর পদ বাতিলের আবেদন করেন নিপুণ। সে আবেদনে বিষয়ে নির্বাচনী আপিল বোর্ডকে সিদ্ধান্ত নিতে সমাজসেবা অধিদপ্তর চিঠি দেয়। এরপর জায়েদ খান ও চুন্নুর বিষয়ে বৈঠকে বসে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনী আপিল বোর্ড। বৈঠক শেষে বোর্ডের প্রধান ও চলচ্চিত্র নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল বলে সাধারণ সম্পাদক পদে নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করেন। এই ঘোষণার পরদিন ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণ পরিষদের বিজয়ীরা শপথ নেন।
এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন জায়েদ খান। হাইকোর্ট আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্ত স্থগিত করলে নিজের পদ ফিরে পান তিনি। পরে ৮ ফেব্রুয়ারি আপিল করেন নিপুণ।
ওই আপিল শুনানি নিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছিলেন চেম্বার জজ আদালত। এরপর সাধারণ সম্পাদক পদের ওপর ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থিতাবস্থা জারি করেন চেম্বার আদালত।