দেশে প্রথমবারের মতো করোনার ল্যাম্বডা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। ঢাকার এক নারীর (৪৯) নারীর নমুনা সিকোয়েন্সিং করে এই ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি পাওয়া যায়। মার্চের প্রথম সপ্তাহে করোনাভাইরাসের সিকোয়েন্স করা হয়েছে, তাতে নতুন ল্যাম্বডা ভাইরাসটির প্রোটিন মিউটেশন পাওয়া যায়।
জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা (জিআইএসএআইডি) থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। সেখানে জিনোম সিকোয়েন্সের তথ্য আপলোড করেছে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর)।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বেশিরভাগ মিউটেশনের ফলে ভাইরাসটির মূল গঠনের ওপর খুব কম বা একেবারেই কোনও প্রভাব পড়ে না। সময়ের সংগে এটি বিলুপ্তও হয়ে যায়। কিন্তু কোনো কোনো মিউটেশন এমনভাবে ঘটে, যা ভাইরাসটিকে টিকে থাকতে এবং বংশবৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
ইতোমধ্যেই দেশে বিভিন্ন সময়ে নমুনার সিকোয়েন্সিং করে যুক্তরাজ্যের ভ্যারিয়েন্ট বলে পরিচিত আলফা (বি.ওয়ান.ওয়ান.সেভেন), দক্ষিণ আফ্রিকার বেটা (বি.ওয়ান.থ্রি ফিফটি-ওয়ান), ব্রাজিলের গামা (পি.ওয়ান) ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। তবে ডেল্টাসহ চারটি ভ্যারিয়েন্টকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন বলে ঘোষণা করেছে। এছাড়াও দেশে পাওয়া গেছে নাইজেরিয়ার ভ্যারিয়েন্ট বলে পরিচিত ইটা (বি.ওয়ান.ফাইভ টুয়েন্টি ফাইভ)। ল্যাম্বডা ও ইটা বর্তমানে ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এপ্রিলে ভারতে প্রথম শনাক্ত হয় ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের ডেল্টা। প্রতিবেশি দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়ায় পরের মাসেই। এ পর্যন্ত করোনার পরিবর্তিত রূপের ও ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের যত ধরনের ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, তার মধ্যে ডেল্টা সবচেয়ে বেশি ছোঁয়াচে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। মহামারির দ্বিতীয় পর্যায়ে দেশে দেশে সংক্রমণ বাড়তে থাকার জন্য দায়ী করা হচ্ছে এই ভ্যারিয়েন্টকে।
