স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, “এরই মধ্যে আমরা ৩১ কোটি টিকার ব্যবস্থা করেছি। এই টিকা থেকে প্রতি মাসেই প্রয়োজনীয় পরিমাণে টিকা আমাদের হাতে চলে আসছে। এর মধ্যেই ৭ কোটি প্রথম ডোজ, ৫ কোটি দ্বিতীয় ডোজসহ মোট ১২ কোটি টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে।”
জাহিদ মালেক বলেন, “আমাদের লক্ষ্য পূরণ করতে বুস্টার ডোজসহ মোট ২৮ কোটি টিকার প্রয়োজন। আমাদের সরকার ৩১ কোটি টিকার ব্যবস্থা করেছে। কাজেই বুস্টার ডোজসহ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেও হাতে আরও ৩ কোটি হাতে থাকবে।”
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে এসেনসিয়াল ড্রাগস লিমিটেডের (ইডিসিএল) বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “এরই মধ্যে আমরা স্কুল পর্যায়সহ বস্তিতে গিয়েও টিকা দিয়েছি। আগামী মাস থেকে প্রতি মাসে আমরা অন্তত ৪ কোটি দেওয়ার কাজ শুরু করছি। এজন্য আগামী মাস থেকেই আমরা দেশের প্রতিটি ওয়ার্ডে টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছি। আশা করা যায়, আগামী মে-জুনের মধ্যেই আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সক্ষম হবো।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “দেশে ইডিসিএল এর উৎপাদন চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে নানা রকম ওষুধের উৎপাদনের চাহিদাও পাচ্ছে ইডিসিএল। কিন্তু সে তুলনায় ইডিসিএল স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। অবকাঠামো দুর্বলতা, যন্ত্রপাতির ঘাটতি, ফ্যাক্টরির জায়গা স্বল্পতাসহ এখানে নানা রকম সমস্যা রয়েছে। এজন্য ইডিসিএল এর জন্য একটি অত্যাধুনিক কারখানা নির্মাণের বিল এখন একনেকে রয়েছে। এটি দ্রুতই সম্পন্ন হয়ে যাবে।”
এতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর এবিএম খুরশিদ আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর শারফুদ্দিন আহমেদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, ডিজিডিএ এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
এ সময় সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ইডিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এহসানুল কবির।