• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তরুণীসহ ৩ মরদেহ উদ্ধার


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২, ০২:৫৩ পিএম
তরুণীসহ ৩ মরদেহ উদ্ধার
ফাইল ছবি

রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনজনের মধ্যে দুজন নারী ও একজন পুরুষ।

কিশোরীর মরদেহ

রাজধানীর খিলগাঁওয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় এক কিশোরীকে উদ্ধার করে রোববার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কিশোরীর নাম তামান্না আক্তার জান্নাতি (১৪)।

তার মা অঞ্জনা খাতুন বলেন, “তার মেয়ের বান্ধবীর এক ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু তার বান্ধবী জান্নাতিকে সন্দেহ করত তার প্রেমিকের সঙ্গে প্রেম করে বলে। সেটা নিয়ে গত তিন-চার দিন থেকে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য ছিল।”

অঞ্জনা আরও বলেন, “একসময়ে আমি খবর পাই মেয়ে ঘরে ওড়নায় ঝুলে আছে। বাসায় ফিরে আমি উদ্ধার করে তাকে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসার পর চিকিৎসক আমার মেয়েকে মৃত বলে জানান।”

তারা খিলগাঁও পশ্চিম নন্দীপাড়া কাজীবাড়ি এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।

তরুণীর লাশ

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঝুলন্ত অবস্থায় এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিলে স্বর্ণা আক্তার (১৮) নামের ওই তরুণীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

নিহত স্বর্ণার মা সালমা বেগম বলেন, “সন্ধ্যার দিকে বাজার থেকে মাছ কিনে বাসায় ফেরেন তিনি। মেয়েকে মাছ কাটতে বললে সেটি নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে মেয়ে অভিমান করে ঘরে চলে যায়। কিছুক্ষণ পরে তরুণীর মা ঘরে গিয়ে দেখেন তার মেয়ে দড়িতে ঝুলে আছে। সে অবস্থায় দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিলে তাকে মৃত বলে জানান চিকিৎসক।”

যুবকের মরদেহ

রাজধানীর মতিঝিল থেকে রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে মাসরুর আলী চৌধুরী আলমাস (৩৪) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান।

নিহত আলমাসের বাবা মাহাফুজ চৌধুরী বলেন, “আমি রাতে আমার বাড়ির নিচে এলাকার লোকজনের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলাম, তখন খবর পাই আমার ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়ে আছে। গিয়ে দেখি ছেলে মেঝেতে পড়ে আছে। তখন বাসার লোকজন বলল, সে ফ্যানের সঙ্গে রশি দিয়ে ঝুলেছিল। আমরা তাকে নামিয়ে মেঝেতে রাখি। তখন আর দেরি না করে তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিক্যালে আনার পর চিকিৎসক ছেলেকে রাত পৌনে ৯টায় মৃত বলে জানান।”

তার ধারণা, ছেলে তার স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে।

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া বলেন, “রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে তিনটি থানা এলাকা থেকে দুই নারী, এক পুরুষকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢামেকে নিয়ে আসেন তাদের স্বজনরা। পরে চিকিৎসক তিনজনকেই মৃত বলে জানান।”

তিনটি মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে এসব মরদেহ হস্তান্তর করবে পুলিশ।

বিষয়গুলোকে সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে বলে জানায় ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ।

Link copied!