আগস্টে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা হবে— এমন ঘোষণা দিয়েছিলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। কিন্তু সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গু আরো বেড়ে যাওয়ায় এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যর্থতার জন্য দুঃখ প্রকাশ করলেন তিনি।
শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) ৯ নম্বর ফ্লোরে অনুষ্ঠিত ‘ডেঙ্গুর প্রকোপ রোধে নগরবাসীর সক্রিয় অংশগ্রহণ নিয়ে ছায়া সংসদ’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে দুঃখ প্রকাশের কথা উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যর্থতার বিষয়ে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, “নির্দিষ্টভাবে এই ব্যর্থতা কার— এটা বলার সুযোগ নাই। আমি নিজেও তো এর জন্য দায় দায়িত্ব অস্বীকার করি না। এ জন্য আমি নিজেও দুঃখ প্রকাশ করছি।”
মন্ত্রী আরো বলেন, “যারা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন বা মারা গিয়েছেন, এরকম কোনো গরীব মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকলে তারা যদি আবেদন করেন বা আপনারা যদি আমাকে তালিকা দেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে সহযোগিতার চেষ্টা করা হবে।”
ডেঙ্গুর এই কঠিন সময়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের বিদেশ সফরকে কীভাবে দেখছেন— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, “মেয়র তাপস সাহেবের ব্যক্তিগত কিছু সমস্যা আছে। তিনবার এডিসের কারণে তার বিদেশ যাত্রা বন্ধ হয়েছে। এর আগেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার বিদেশ যাওয়ার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। তখন আমি বলছিলাম, না এ সময়ে যাওয়া যাবে না। তখন তিনি বলেছিলেন, তার ব্যক্তিগত কিছু সমস্যা আছে। আমাকে যাওয়ার আগে খুব ভালোভাবে বলছিলেন। শেষে দেখলাম যে, তার বিষয়টা জেনুইন। এটা যদি না হয় তাহলে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হবে ব্যক্তিগতভাবে। আমি তার বিদেশ যাওয়ার জন্য সারসংক্ষেপ পাঠিয়েছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে। এখন ডিজিটাল যুগ। ডিজিটালি তিনি তার অফিসে বসে সবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। তবুও থাকলে ভালো লাগে। কিন্তু সিটি করপোরেশন ডেঙ্গু প্রতিরোধে কাজ করছে।”
ডেঙ্গু নিয়ে সরকারি হাসপাতালে যারা মারা যান, তাদের কথা বলা হয়, বেসরকারি হাসপাতালে যারা মারা যাচ্ছেন, সে মৃত্যু নিয়ে তথ্য বিভ্রাট আছে— এমন প্রশ্নের উত্তরে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, “আইইডিসিআর যে তথ্য দেয়, সেটা তারা সংগ্রহ করে বেসরকারি হাসপাতাল, সরকারি হাসপাতাল সবগুলো থেকে। তারা নিশ্চিত করে আদৌ কি ডেঙ্গু রোগে মারা গেছে, নাকি অন্য কোনো রোগে মারা গেছে। এ জন্য হয়তো দেরি হতে পারে। প্রাইভেট হাসপাতালে মারা গেলে অবশ্যই এটাও যোগ হওয়া উচিত।”
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ কিরণের সভাপতিত্বে প্রতিযোগিতায় সরকারি দল হিসেবে ছিল ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বিরোধী দল হিসেবে ছিল আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।
অনুষ্ঠান শেষে অংশগ্রহণকারী দলের প্রতিযোগিদের মাঝে ট্রফি ও সনদপত্র বিতরণ করেন মন্ত্রী।