ট্রান্সজেন্ডার নারী বিউটি ব্লগার সাদ বিন রাবী ওরফে সাদ মুআকে যৌননির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলার মূল আসামি ইশতিয়াক আমিন ফুয়াদ ও তার সহযোগী কথিত নারী আরজে সাইমা নীরাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তার অপরজনের নাম সাদমান সাকিব।রাজধানীর ফার্মগেট ও মহাখালী থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
রোববার (২৩ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো এক খুদে বার্তায় বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানানো হয়।
বার্তায় বলা হয়, এই বিষয়ে বিকালে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।
এর আগে শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) রাজধানীর ভাটারা থানায় যৌননির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন ট্রান্সজেন্ডার নারী বিউটি ব্লগার সাদ মুআ। পাশাপাশি নিজের অফিশিয়ার ফেসবুক পেজে ঘটনার বর্ণনাও জানান ওই নারী বিউটি ব্লগার। সেখানে তিনি অভিযুক্তদের দুইজনের ছবিও প্রকাশ করেন।
সাদ মুআ ফেসবুক পেইজে লেখেন, “তিনজনের এই হচ্ছে দুইজন, যারা আমাকে আটকে রেখে টর্চার করে সব কিছু নিয়ে নেয়। মেয়েটার নাম সায়মা শিকদার নীরা, ছেলের নাম ইশতিয়াক ফুয়াদ। এই মেয়েটাকে তারা স্যার স্যার বলে ডাকছিল। আর ওয়াকিটকিতে রাফাত বিন নুর স্যারের সঙ্গে কথা বলছিল আমাকে পাচার করে দেওয়ার জন্য। পরে জানলাম, সে যে রাফাতের কথা বলছিল, তিনি আর্মিতে চাকরি করেন। আর সে এখন মিশনে দেশের বাইরে আছেন। আর ছবির ছেলেটা এয়ারফোর্সে ছিল এবং কোনো কারণবশত ওর চাকরি চলে যায়। ছেলেটি নর্থসাউথে পড়ে আর মেয়েটা পড়ে ড্যাফোডিলে। অথচ ছেলেটা নিজেকে আর্মি ক্যাপ্টেন বলে পরিচয় দেয়, আর মেয়েটা নিজেকে পুলিশ কর্মকর্তা বলে পরিচয় দেয়। কোথাও কোথাও বলে যে, সে নর্থ সাউথে পড়ে। এছাড়া এদের পরিচিত লোকদের থেকে জানা যায়, ওদের বসুন্ধরাতে কয়েকটা বাসা ভাড়া নেওয়া আছে। সব জায়গাতে তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে মাঝে মধ্যে থাকে। বসুন্ধরার বাইরেও নাকি এদের বাসা আছে।”