একদিনে এক কোটি মানুষকে করোনা টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) শুরু হয়েছে গণটিকাদানের এই কার্যক্রম। এদিন জন্মনিবন্ধন সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়াই টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হচ্ছে। এসব কাগজপত্র না থাকায় বা অন্য সমস্যার কারণে যারা এতদিন টিকা নিতে পারেননি তারা আজ কেন্দ্রে ভিড় করছেন।
এছাড়া সব বয়সের নারী-পুরুষ ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে টিকা দিতে আসছেন। ফলে ভোর থেকেই টিকাকেন্দ্রে ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে রাজধানীর মালিবাগ চৌধুরীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে টিকা কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগেই আশপাশের বাসিন্দারা এসে ভিড় করেন।
এ সময় টিকাকেন্দ্রের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কেউ কেউ ভোর রাতে এসেই লাইনে দাঁড়িয়েছেন। তবে সকাল ১০টার আগে কেউ টিকা পাননি। কারণ কেন্দ্রটিতে সকাল ১০টার পর টিকা দেওয়া শুরু হয়।
টিকা নিতে আসা মুস্তাফিজ নামের একজন বলেন, “ফজরের নামাজের পরপরই লাইনে এসে দাঁড়িয়েছে। আমি আসার আগেই অনেকে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। ছয় ঘণ্টার ওপরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। আর কতক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে বুঝতে পারছি না।”
এর আগে টিকা নেননি কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে মুস্তাফিজ বলেন, “আমি গরিব মানুষ, কাজ করে খাই। এর আগে শুনেছিলাম ঘরে ঘরে গিয়ে টিকা দিয়ে আসবে। তাই আগেও এখানে টিকা দেওয়া হলেও নেইনি। এখন শুনছি আজকের পর আর টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হবে না। তাই টিকা নিতে এসেছি।”
এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশের সবাইকে করোনা প্রতিরোধে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, “শনিবার আমরা এক কোটি টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছি। আমি সবাইকে আহ্বান জানাই যারা টিকা নেননি, তারা এগিয়ে আসেন টিকা নিন। টিকা নিলে আপনি, আপনার পরিবার ও দেশ সুরক্ষিত থাকবে। শনিবার আমরা সবাইকে টিকা দেব। এরপর আমরা দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজের দিকে বেশি গুরুত্ব দেব।”
মন্ত্রী আরও বলেন, “শনিবার আমরা এক কোটি ডোজ টিকা দেব। আমরা পারলে সেদিন দেড় কোটি টিকা দেব। আমাদের কাছে ১০ কোটি টিকা মজুত রয়েছে। আমাদের টিকা দেওয়ার সক্ষমতাও আছে। আমাদের এক লাখ লোক টিকা দিতে কাজ করছেন।”