১৯ জানুয়ারি বুধবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৩৬ সালের এই দিনে বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ী গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) পৃথক বাণী দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া এ উপলক্ষে দুই দিনের কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন।
কর্মসূচি অনুযায়ী সকাল ৬টায় রাজধানীসহ দেশের প্রতিটি এলাকায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ১১টায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়ার সমাধিতে দলের নেতা-কর্মীরা ফাতিহা পাঠ ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়েছে। দুপুর ২টায় রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
নয়াপল্টনে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) ও বিএনপির উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করা হবে। এছাড়া বিভিন্ন মাধ্যমে পোস্টার ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের প্রধান জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন তিনি।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বাঙালির ওপর পাকিস্তান সেনাবাহিনী আক্রমণ চালায়। এরপরই শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর পক্ষে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে অষ্টম বেঙ্গল রেজিমেন্টের উপ-অধিনায়ক মেজর জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা পাঠ করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপপ্রধান নিযুক্ত ছিলেন।
জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের নতুন দর্শনের ভিত্তিতে গঠন করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। ১৯৮১ সালের ৩০ মে গভীর রাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে বিপথগামী কিছু সেনাসদস্যের গুলিতে নিহত হন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।