সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, “জাপান বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী দেশ। জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দীর্ঘদিনের।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ৫০ বছর পূর্তি হয়েছে। এছাড়া জাপান বাংলাদেশের অর্থনীতি, বাণিজ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রদান করে আসছে। করোনার মধ্যেও জাপান বাংলাদেশে মেট্রোরেল, বিমানবন্দর থার্ড টার্মিনাল, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ প্রকল্প অব্যাহত রেখেছে। এছাড়া তাছাড়া জাপান বাংলাদেশকে যে স্বল্পসুদে ঋণ দেয়, সে সুদের টাকাও পরবর্তীতে Japan Debt Cancellation Fund (JDCF) এর মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগ করে এ দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।”
শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী প্রদর্শনী গ্যালারিতে ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাস ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর সহযোগিতায় জাপান ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘জাপানী উপহার : হৃদয়ের অনুভূতির প্রকাশ - জাপানের উপহার বিনিময়ের সৌন্দর্য’ শীর্ষক প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, “যে কোন প্রত্নবস্তুর পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ প্রক্রিয়া বেশ জটিল। কয়েক শতাব্দী প্রাচীন জাপানের ঐতিহ্যবাহী অনন্য নিদর্শনসমূহ বিশেষ করে কাপড়ের তৈরি নিদর্শনসমূহ আমাকে একইসঙ্গে মুগ্ধ ও বিস্মিত করেছে।”
এ সময় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে বন্ধুপ্রতিম দু'দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষা ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে বন্ধন আরো জোরালো হবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী।
এদিকে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কীপার (জনশিক্ষা) ড. শিহাব শাহরিয়ার।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন। প্রদর্শনীটিতে জাপানের ঐতিহ্যবাহী ৯০টি অনন্য নিদর্শন ও শিল্পকর্ম তথা প্রত্নবস্তু স্থান পেয়েছে।