• ঢাকা
  • সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চৈতী হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের দাবিতে মানববন্ধন


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ১৯, ২০২২, ১২:৫৬ পিএম
চৈতী হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

ভোলার চরফ্যাশনে গৃহবধূ শাশ্বতী রায় চৈতীর হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন তার সহপাঠীরা। শনিবার (১৯ মার্চ) বেলা ১১টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ফেস্টুন হাতে প্রতিবাদ জানান তারা।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, “আমাদের একটাই দাবি, চৈতীর এই রহস্যজনক মৃত্যুর সঠিক তদন্ত যেন নিশ্চিত করা হয়। সময়ের পরিক্রমায় যেন হারিয়ে না যায় চৈতী হত্যার রহস্য। সুষ্ঠু তদন্ত ও আসামিদের সঠিক বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। চৈতীর মতো বাংলাদেশের আর কোনো মেয়েদের যেন মেনে নিতে না হয় এই নির্মম পরিহাস, বরণ করে নিতে না হয় এমন অস্বাভাবিক মৃত্যু। এ ক্ষেত্রে আমরা ভোলার সর্বস্তরের প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং আমরা বিশ্বাস করি, অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনা হবে। যদি সুষ্ঠু তদন্ত না হয়, তাহলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হব।”

জানা যায়, ভোলার চরফ্যাশনের এক মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান চৈতী। তার বাবা সুভাষ চন্দ্র রায় চরফ্যাশন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ছিলেন এবং তার মা মিঠু রানী সরকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। ছোটবেলা থেকেই চৈতী ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী এবং হাসিখুশিমাখা চঞ্চল প্রকৃতির মেয়ে। পড়াশোনার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও ছিল তার অগাধ পদচারণ। তিনি এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ অর্জন করেন। পরে বরিশাল বিএম কলেজে গণিত বিভাগে স্নাতক সম্পন্ন করে এবং একই বিভাগে স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরত ছিলেন।

চৈতীর সহপাঠীরা জানান, মাধ্যমিকে পড়াকালীন চৈতীর প্রেম হয় একই এলাকার মানস মজুমদার শাওনের সঙ্গে। দীর্ঘ ৯ বছর চলে তাদের প্রেম। পরে দুই পরিবারের মতামত অনুযায়ী ধুমধাম করে তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, বিবাহের পরেই চৈতীর জীবনে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নানা রকম শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন। বৈবাহিক জীবনের প্রায় এক বছরের মাথায় গত ৪ মার্চ ভোররাতে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় চৈতীর লাশ পাওয়া যায়।

চৈতীর পরিবারের দাবি, এটা আত্মহত্যা নয়, এটা ছিল পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। যার পরিপ্রেক্ষিতে চৈতীর বাবা বাদী হয়ে শাশুড়ি নিয়তি রানীকে প্রথম আসামি ও শ্বশুর সমীর মজুমদার, স্বামী মানস মজুমদার শাওনসহ তিনজনকে আসামি করে চরফ্যাশন থানায় একটি আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করেন।

Link copied!