চাল কেটে বা ছেঁটে সরু করার কারণে জনগণের স্বাস্থ্য ঝুঁকি আছে কি না জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে খাদ্যের পুষ্টিমান নষ্ট হয় কি না সে বিষয়ে গবেষণা প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২১ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম এবং বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
জানা গেছে, মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) দায়ের করা এক রিটের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন আদালত।
এ সময় আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান।
এ ছাড়া যেসব অটো রাইস মিলে চাল কেটে বা ছেঁটে মিনিকেট বা নাজিরশাইল নামে বিক্রি করা হচ্ছে তাদেরও তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী চার মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে রিটে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, খাদ্য সচিব, কৃষি এবং বাণিজ্য সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, র্যাবের প্রধান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের পরিচালক, বিএসটিআই, রাইস রিসার্স ইনস্টিটিউট, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, সাত জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার এবং অটো রাইসমিলস মালিক সমিতির সভাপতি/সেক্রেটারিকে বিবাদী করা হয়।
এ সময় আদালতে বিভিন্ন প্রতিবেদন ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট উপস্থাপন করে মনজিল মোরসেদ বলেন, “বিশেষজ্ঞদের মতে, ওভার পলিশ ও ছাঁটাইয়ের কারণে চালে জিংকের পরিমাণ অনেক কমে যায়। এমনকি পুষ্টি উপাদানও অনেক কমে যায়। চালের উপরের অংশ ছেঁটে ফেলার কারণে যে চাল মানুষ গ্রহণ করছে সেখানে কার্বোহাইড্রেডের অংশ বেশি। যে কারণে টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্তের শঙ্কা বাড়ছে।”
মনজিল মোরসেদ বলেন, “এ ক্ষেত্রে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯, বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪, খাদ্য নিরাপত্তা আইন ২০১৩ এবং সংবিধানের আর্টিকেল ১৮(১) অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান রয়েছে।”
তবে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তার কারণে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী খাদ্য নিয়ে মানুষকে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলছে বলেও জানান তিনি।