গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার দুই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে ভোট স্থগিতের আদেশ প্রত্যাহার করেছেন হাইকোর্ট। ফলে এই দুই ইউপিতে ভোটগ্রহণে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
ইউপি দুইটি হলো : কুশলা ও কলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ। তবে কোটালীপাড়া উপজেলার হিরণ ইউনিয়নের নির্বাচন ২০২২ সালের ৬ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত থাকবে বলে হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়েছে।
কুশলা ও কলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ভোটগ্রহণ করার কথা আগামী ২৬ ডিসেম্বর।
রোববার (২৮ নভেম্বর) হাইকোর্টের আগের আদেশ সংশোধন করে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এদিন আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট পংকজ কুমার কুন্ডু।
পংকজ কুমার কুন্ডু বলেন, “কোটালিপাড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা গত ১২ নভেম্বর একই মেমোতে হিরন, কুশলা ও কলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণা করেন। পরে হিরন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের পাঁচ বছর পূর্ণ না হওয়ায় নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট করেন ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা মুসা বিশ্বাস। রিটের শুনানি নিয়ে গত ২৩ নভেম্বর কোটালিপাড়ার হিরন, কুশলা ও কলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সিডিউল স্থগিত করে আদেশ দেন হাইকোর্ট।”
আইনজীবী বলেন, “শুধু হিরন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিতের কথা থাকলেও কুশলা ও কলাবাড়ি ইউনিয়নের নির্বাচনও স্থগিত হয়ে যায়। কারণ একই মেমোতে তিনটি ইউনিয়নের নির্বাচনী সিডিউল ঘোষণা করা হয়েছিল। এদিকে হাইকোর্টের আদেশের পর গত ২৫ নভেম্বর কোটালীপাড়ায় তিনটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা খায়রুল হাসান বলেন, “হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা জারির কপি হাতে পাওয়ায় হিরণ, কুশলা ও কলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করা হয়।”
অন্যদিকে রোববার কুশলা ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সুলতান মাহমুদ চৌধুরী ও কলাবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী বিজন কুমার বিশ্বাসের পক্ষে অ্যাডভোকেট পংকজ কুমার কুন্ডু হাইকোর্টের আদেশ সংশোধন চেয়ে আবেদন করলে শুনানি শেষে গত ২৩ নভেম্বরের হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ সংশোধন করে দেন আদালত।