রাজধানীর ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতাল’-এ হঠাৎ করেই ডায়ালাইসিস সেবা বন্ধ করে দেওয়ার হয়েছে।
এ ঘটনায় সড়ক অবরোধ করে রেখেছে হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা। এতে ওই এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, হাসপাতালের কাছে কিছু টাকা বকেয়া থাকায় আদায়ের কৌশল হিসেবে সেবা বন্ধ করে দিয়েছে দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারতীয় প্রতিষ্ঠান স্যানডোর।
বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে হাসপাতালটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “স্যানডোর শুধু আমাদের হাসপাতালের রোগীদেরই ডায়ালাইসিস করে না, সব হাসপাতালেই তারা ডায়ালাইসিস করে থাকে। আমাদের কাছে তাদের কিছু বিল বকেয়া আছে, সেটিও প্রসেসিংয়ের মধ্যে আছে। এখন তারা রোগীদের জিম্মি করে ডায়ালাইসিস সেন্টার তালা দিয়ে বন্ধ করে চলে গেছে। যে কারণে রোগীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।”
ডা. মিজানুর রহমান বলেন, “এটি তো আমাদের হাসপাতালের কোনো সমস্যা নয়, স্যানডোর তালা মেরে চলে গেছে, এটা তাদের দায়। তারা বলছে টাকা না পেলে ডায়ালাইসিস সেন্টার খুলবে না। আমরা তাদের বলেছি যে, টাকাটা প্রসেসিংয়ে আছে। সরকারি টাকা পেতে তো একটু দেরি হতেই পারে। এ জন্য সেবা বন্ধ করে দেওয়াটা অন্যায়।”
রোগীদের সেবায় এখন কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, জানতে চাইলে হাসপাতালটির পরিচালক বলেন, “কিছু জরুরি রোগীকে আমরা নিজস্ব প্রক্রিয়ায় ডায়ালাইসিস সেবা দিচ্ছি। পাশাপাশি কিছু রোগীকে অন্যান্য হাসপাতালে শিফট করে দেওয়া যায় কি না, সেটি আমরা দেখছি।”
কিন্তু এভাবে সব রোগীদের দায়িত্ব নেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে স্যানডোর ডায়ালাইসিস সার্ভিসেস বিডি প্রাইভেট লিমিটেডের প্রশাসন ও বিপণন বিভাগের ব্যবস্থাপক মঞ্জুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোন নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।
২০১৬ সালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে ১০ বছরের চুক্তিতে কিডনি হাসপাতালে ডায়ালাইসিস সেবা দেওয়া শুরু করে স্যানডোর। প্রতি ডায়ালাইসিসে মাত্র ৪৮৩ টাকা দিতে হয় রোগীদের। বাকি টাকা দেয় বাংলাদেশ সরকার।
