স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালিক বলেছেন, “কক্সবাজারসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটে মানুষ মাস্ক না পরায় করোনার নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।”
মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান মন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থান ও রাজনৈতিক সমাবেশে মানুষ মাস্ক পড়ছে না। এতে করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।”
এ সময় করোনা টিকার বুস্টার ডোজ সবাইকে দিতে সুরক্ষা অ্যাপ আপডেট করা হচ্ছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, “এখন সীমিত আকারে ফ্রন্টলাইনারদের দেয়া হচ্ছে। টিকাগ্রহণের কার্ড নিয়ে ষাটোর্ধ্ব ও ফ্রন্টলাইনাররা টিকা দিতে পারবেন। আর এ মাসের শেষের দিকে অ্যাপসের মাধ্যমে তা শুরু হবে আগেরগুলোর মত। এখন তা নিয়ে কাজ করছে আইসিটি মন্ত্রণালয়।”
এছাড়া দেশে এখনও ওমিক্রন ছড়ায়নি জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, “ওমিক্রন ঠেকাতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। সারা দেশের মানুষ যাতে আগের মত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে এজন্য সব জেলা প্রশাসক এবং সিভিল সার্জনদের চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।”
মন্ত্রী আরও বলেন, “এ পর্যন্ত করোনা টিকার প্রথম ডোজ ৭ কোটি ও দ্বিতীয় ডোজ সাড়ে ৪ কোটি মানুষকে দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে ৬০ শতাংশ মানুষকে। আর ৩৫ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন।
একই সঙ্গে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে টিকা একটা বড় কার্যকরী ভূমিকা রেখেছে বলেও জানান তিনি।
জাহিদ মালেক বলেন, “করোনা নিয়ন্ত্রণে সফলতার উদাহরণ হয়েছে বাংলাদেশ। এখন যে সংক্রমণ কমে গেছে, এটা ধরে রাখতে হবে। সব হাসপাতালে এখন অক্সিজেন সাপোর্ট আছে।”
অন্যদিকে মালদ্বীপ সফর নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “এ সফরে সময় সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি চুক্তি হবে। এর ফলে বাংলাদেশ থেকে ডাক্তার-নার্স নেবে তারা।”