ব্যাংকের একক গ্রাহকের ঋণসীমা কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী ১ এপ্রিল থেকে এসব নির্দেশনা কার্যকর হবে।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে। ব্যাংকিং খাতে স্থিতিশীলতা জোরদার এবং ব্যাংকের ঋণ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণের উদ্দেশে প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়। ব্যাংকিং কোম্পানি আইন অনুসারে নতুন নির্দেশনা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা।
সার্কুলারে বলা হয়,একক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান কিংবা গ্রুপকে দেওয়া ফান্ডেড ও নন-ফান্ডেড ঋণ সুবিধা আসল অংকের মোট পরিমাণ কোনোভাবেই সেই ব্যাংকের মূলধনের ২৫ শতাংশের বেশি হবে না। আর একক কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা গ্রুপকে দেওয়া ফান্ডেড ঋণ সুবিধা আসল অংকের মোট পরিমাণ আগের মতোই ব্যাংকের মোট মূলধনের ১৫ শতাংশ অপরিবর্তিত রয়েছে।
এদিকে জ্বালানি খাতে ফান্ডেড ও নন ফান্ডেড মিলিয়ে মোট মূলধনের ৫০ শতাংশ ঋণ দিতে পারবে ব্যাংকগুলো।
সার্কুলার অনুয়ায়ী, যেসব ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৩ শতাংশের নিচে তারা মোট মূলধনের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ বড় অঙ্কের ঋণ দিতে পারবে। খেলাপি ঋণ ৫ শতাংশের কম হলে ৪৬ শতাংশ বড় অঙ্কের ঋণ দিতে পারবে। খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশের নিচে হলে বড় অঙ্কের ঋণ দিতে পারবে ৪২ শতাংশ। খেলাপি ঋণ ১৫ শতাংশের কম হলে বড় অঙ্কের ঋণ দিতে পারবে ৩৮ ভাগ। খেলাপি ঋণ ২০ শতাংশের কম হলে বড় অঙ্কের ঋণ দিতে পারবে ৩৪ শতাংশ। খেলাপি ঋণ ২০ শতাংশ বা তার বেশি হলে বড় অঙ্কের ঋণ দিতে পারবে ৩০ শতাংশ।
বর্তমান সময়ে একটি ব্যাংকের ফান্ডেড ১৫ শতাংশ ও নন-ফান্ডেড ২০ শতাংশ মিলিয়ে একজন গ্রাহককে মোট মূলধনের সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দেওয়া সুযোগ ছিল।