• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইমেরিটাস অধ্যাপক হলেন ডা. আবদুল্লাহ


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১, ২০২২, ০২:১৪ পিএম
ইমেরিটাস অধ্যাপক হলেন ডা. আবদুল্লাহ

বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবিএম আবদুল্লাহ ইমেরিটাস অধ্যাপক হয়েছেন।

সোমবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সিন্ডিকেট সভায় তাকে এই পদে মনোনীত করা হয় এবং তা সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়।

জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ডা. এবিএম আবদুল্লাহই প্রথম এই সম্মানে ভূষিত হলেন। অবসর নেওয়ার পরও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষাবিষয়ক কর্মকাণ্ড ও গবেষণায় সম্পৃক্ত থেকে আজীবন একজন অধ্যাপকের সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ মঙ্গলবার বলেন, “মানুষের সেবা করাটাই চিকিৎসকদের মূল কাজ। বিএসএমএমইউ আমার ওপর আস্থা রেখে যে সম্মান দিয়েছে এ জন্য আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি যেন আমার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারি এবং দেশের মানুষকে সঠিক চিকিৎসা দিয়ে যেতে পারি সে জন্য সবার দোয়া চাই।”

উচ্চশিক্ষায় অধ্যাপনা পেশায় ইমেরিটাস অধ্যাপক একটি উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন পদবি। অবসরপ্রাপ্ত স্বনামধন্য অধ্যাপকের জীবদ্দশায় শিক্ষা ও গবেষণায় অসামান্য অবদান এবং নিজ নিজ ক্ষেত্রে কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ এই পদবি দেওয়া হয়ে থাকে।

এর আগে ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহকে দুই বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ‘ইউজিসি প্রফেসরশিপ’ প্রদান করা হয়। সম্প্রতি তার সেই দায়িত্ব শেষ হয়েছে।

২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয় এই চিকিৎসককে।

২০১৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর বিএসএমএমইউ থেকে অবসরে যান অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের তিনবারের ডিন ও মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান ছিলেন।

১৯৫৪ সালে জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার হাড়িয়াবাড়ী গ্রামে ডা. আবদুল্লাহ’র জন্ম। ১৯৭২ সালে তিনি ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। ১৯৭৮ সালে তিনি এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯৫ সালে পিএসসি পরীক্ষার মাধ্যমে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেন। পরে এ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক এবং মেডিসিন বিভাগের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর ২০১৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর তিনি সচিব পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক হিসেবে নিয়োগ পান।

Link copied!