প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “আধুনিক প্রযুক্তি এবং অস্ত্রশস্ত্র থেকে শুরু করে সব সরঞ্জাম সম্পর্কে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী প্রশিক্ষিত হবে এবং জ্ঞান লাভ করবে; সেটিই আমার চেষ্টা। কারও কাছ থেকে যেন আমরা পিছিয়ে না থাকি।”
বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) সকালে ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স-২০২১’ এবং ‘আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স-২০২১’ -এর স্নাতক সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের লক্ষ্য দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যেন আমাদের সেনাবাহিনী চলতে পারে। কারণ, জাতিসংঘ কর্তৃক শান্তিরক্ষী বাহিনীতে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী অংশগ্রহণ করে।”
সরকারপ্রধান বলেন, “আমরা প্রশিক্ষিত ও যুগোপযোগী সামরিক বাহিনী গড়ার লক্ষ্যে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। আমরা জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতিমালা ২০১৮ প্রণয়ণ করেছি। একই সঙ্গে আমরা সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি।”
১৯৯৬ সালে সরকারে এসে তার সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, “একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী বিশ্বসভায় মর্যাদা নিয়ে চলবে। সেই আকাঙ্ক্ষা নিয়েই রাষ্ট্র পরিচালনা শুরু করি। সে সময় সামরিক বাহিনীর আধুনিকায়নে নানা উদ্যোগ নিই।”
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী বলেন, “১৯৯৮ সালে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ও ওয়ার কলেজ প্রতিষ্ঠা করি। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং ও আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করি। ২০০০ সালে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীতে নারী অফিসার নিয়োগ করি।”