ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে আদিবাসী দুই স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার মূল আসামি সোলায়মান হোসেন ওরফে রিয়াদকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শনিবার (৮ জানুয়ারি) র্যাব-১৪ এর একটি দল ময়মনসিংহের গফরগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার মূল অভিযুক্ত রিয়াদকে গ্রেপ্তার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান।
এএসপি আ ন ম ইমরান খান বলেন, “হালুয়াঘাট এলাকায় গত ২৮ ডিসেম্বর রাতে স্কুলপড়ুয়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর দুই কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মূল আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
এ বিষয়ে দুপুরে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর রাতে হালুয়াঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী ৫ নং গাজিরভিটা ইউনিয়নের ডুমনিকুড়া গ্রামের দুই কিশোরী পাশের গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান গিয়েছিল। বাড়ি ফেরার পথে হত্যার ভয় দেখিয়ে তাদের সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে স্থানীয় একদল বখাটে।
ভুক্তভোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে পরিবারের সদস্যরা তাদের খুঁজতে বের হয়। পরে তাদের দুজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
ভুক্তভোগী কিশোরীদের পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণের ঘটনা কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দেওয়ায় আদিবাসী পরিবারের লোকজন ভয়ে মুখ খুলতে পারছিলেন না।
ঘটনাটি জানাজানি হলে ২৯ ডিসেম্বর হালুয়াঘাট থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এরপর গত ৩০ ডিসেম্বর ১০ জনকে আসামি করে হালুয়াঘাট থানায় একটি মামলা করেন নির্যাতিতা এক কিশোরীর বাবা।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন সোলায়মান হোসেন রিয়াদ (২২), শহীদ মিয়ার ছেলে শরিফ (২০), এজাহার হোসেন (২০), রমজান আলী (২১), কাউছার (২১) আছাদুল (১৯) শরিফুল ইসলাম (২১), মিজান (২২), রুকন (২১) ও মামুন (২০)।
এছাড়া দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় গত ৩ জানুয়ারি বিকেলে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে উপজেলার সীমান্ত এলাকায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন আদিবাসীরা।